Cvoice24.com

পাহাড় গিলে খাওয়া লিংক রোডে বৃষ্টিতে ধসে পড়লো ব্রিজের নিচের মাটি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২৯ জুলাই ২০২১
পাহাড় গিলে খাওয়া লিংক রোডে বৃষ্টিতে ধসে পড়লো ব্রিজের নিচের মাটি

টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে দেবে গেছে বায়েজিদ লিংক রোডের কয়েকফুট অংশ। ওই সড়কের ৫ নম্বর ব্রিজের নিচে পাহাড়ি ঢলের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সিডিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সেখানে মাটি সরানোর কাজ করছে সিডিএ। 

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ব্রিজের পশ্চিম পাশে এবং ব্রিজ সংলগ্ন ফুটপাতসহ কিছু অংশে দেবে গেছে। ব্রিজের নিচের অংশেও দেখা গেছে ব্যাপক ধস নামার চিহ্ন। আশপাশে তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল।

মূলত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট অংশ থেকে নগরের বায়েজিদ পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি নির্মাণে প্রায় ১৮টি পাহাড় কাটা হয়। পাহাড়গুলো খাড়াভাবে কাটায় সেগুলো ধসে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এবার টানা বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ি ঢলের কারণে। এর আগে ৬ জুন চট্টগ্রাম নগরে প্রবল বর্ষণের পর সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,  সড়কটি তৈরির পর বিভিন্ন অংশে মাটি ধরে রাখার জন্য স্লোপ প্রটেকশন বা পৃথক দেয়াল নির্মাণের কথা। কিন্তু সেগুলো এখনও দেওয়া হয়নি। তবে এতে বড় কোন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা না থাকলেও দ্রুত স্লোপ প্রটেকশন দেওয়া প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তরের আপত্তির কারণে কাজে ঢিলেমির বিষয়টি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওই সড়কে পরিবেশ অধিদপ্তরের আপত্তি থাকায় আমরা কমিটি করেছি। কমিটি রিপোর্ট দিলে দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবো। তবে যে অংশে সমস্যা হয়েছে সেখানে ঠিকাদার কাজ করছে। ড্রেজার দিয়ে মাটি দেওয়া হচ্ছে। 

গত বছরের ২৯ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শুনানি শেষে ‘পাহাড় কেটে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি ও ভূমির বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি নষ্টসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করায়’ সিডিএকে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনুমোদনের চেয়ে ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭২০ ঘনফুট বেশি পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছিল অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। সেখানে পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল আড়াই লাখ ঘনফুটের মতো। পাশাপাশি হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের নির্দেশনা না মেনে ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে খাড়া করে পাহাড় কাটার প্রমাণ মেলে।

সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়