Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড

ডেঙ্গু মোকাবেলায় চসিকের ৩০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ১ আগস্ট ২০২১
ডেঙ্গু মোকাবেলায় চসিকের ৩০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম

ডেঙ্গু মোকাবেলায় এবার আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এ নিয়ে রবিবার বিশেষ এক বৈঠকে বসে আগামী ৩০ দিন নগরীজুড়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ইতোমধ্যে চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে চট্টগ্রামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। করোনার মহামারি ভেতর ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্টদের।  

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, আমরা সোমবার থেকেই মাঠে নেমে পড়ছি। ৪১ ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য আমরা গঠন করেছি ১০০ সদস্যে বিশেষ টিম। এই টিম ভাগ হয়ে প্রতিদিন চারটি ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে টানা দশদিন মশার ওষুধ ছিটাবে। তাদের জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকবে স্প্রে ও ফগার মেশিন। ১০ দিন পর ৪১ ওয়ার্ড শেষ হলে আবারও পালা করে তারা ওষুধ ছিটাবে। এভাবে চলবে ৩০ দিন।বিশেষ কার্যক্রমের জন্য ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা সংগ্রহ করা হবে।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় চসিকের করা বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড মিলিয়ে আমাদের দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের পরিচয়পত্র আর নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম থাকবে। ওয়ার্ডের আকার অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ জন করে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাখা হচ্ছে। তাদের কাজ হবে কোভিড নিয়ে সচেতনতার পাশপাশি ডেঙ্গু রোধে মাইকিং, ও সচেতনতা কাজ চালানো।

চসিক বলছে, চট্টগ্রাম নগরের বাড়িতে বাড়িতে অভিযানে যাবে চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেই জরিমানা গুণতে হবে বাড়ির মালিককে। 

তবে মশা নিধন নিয়ে যত জোরালো আলোচনায় হোক। উড়ন্ত মশা নিধনে যে ওষুধ (এডাল্ট্রিসাইড) প্রয়োজন তার মজুদ নেই চসিকের কাছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিম এখনও পর্যন্ত কার্যকর মশার ওষুধের নাম না পাঠানোর কারণে এ বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন চসিকের কর্মকর্তারা। এর আগে মার্চে চট্টগ্রামে ছিটানো ওষুধের মান যাচাইয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়র রেজাউল।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, নষ্ট ৩৫টি ফগার মেশিনের মধ্যে ১৮টি সম্প্রতি মেরামত করা হয়। কিন্তু মেরামতের দু’দিন না যেতেই সেগুলো ফের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের বেশি চালানো যাচ্ছে না এসব মেশিন। ৪১টি ওয়ার্ডে একযোগে মশক নিধন কার্যক্রম চালানোর জন্য এসব মেশিন মোটেও পর্যাপ্ত নয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়