Cvoice24.com

শহীদ মিনার সংস্কার ও বিন্যাস কাজ ৯ মাসে শেষ করতে হবে: মেয়র রেজাউল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ৩ অক্টোবর ২০২১
শহীদ মিনার সংস্কার ও বিন্যাস কাজ ৯ মাসে শেষ করতে হবে: মেয়র রেজাউল

মূল নকশা ও অবয়ব অনুযায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, বিন্যাস, সম্প্রসারণ ও গুরুত্ব বর্ধিতকরণে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন নিশ্চিত করে ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় বর্তমান জায়গায় বাঙালির আবেগ অনুভূতি ও ঐতিহ্যের স্মারক এ স্থাপনাটির যাতে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দৃশ্যমান হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে কোনো কালক্ষেপণ না করে এখন থেকেই কাজ শুরুর নির্দেশনা দেন তিনি।

রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শহীদ মিনার সংলগ্ন মুসলিম ইনস্টিটিউট হল চত্তরে নির্মিতব্য চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক বলয় কেন্দ্রে তাঁর আহবানে সংস্কৃতিকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন।  

মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে ২১ ফেব্রুয়ারিসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসের কর্মসূচী পালন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য চসিক পরিচালিত মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি বিকল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। 

এই স্থাপনা নির্মাণের কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শুরু করার নির্দেশ প্রদান করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার কাজ শেষ হবার পর বিকল্প শহীদ মিনার স্থাপনাটিও থেকে যাবে এবং সেইভাবেই এর স্থায়ী রূপ দেয়া হবে।

মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পের পথে যখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রসঙ্গটি আসে তখন থেকেই মন স্থির করেছিলাম সবার সঙ্গে বসে মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আমি শহীদ মিনারের সংস্কার চাই, মূল নকশানুযায়ী বিন্যাস ও সম্প্রসারণ চাই। তবে এটা ভাঙ্গা বা সরিয়ে ফেলতে মন সায় দেয়নি এবং দেবেও না। 

তিনি আরও বলেন, বাস্তবায়নাধীন সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার স্বপ্ন। এই স্বপ্নের শতভাগ পূরণ হলে চট্টগ্রামের শিল্প-সংস্কৃতির চাকা গতিশীল হবে। এই প্রকল্প একটি বহুমাত্রিক নন্দিত স্থাপনাই হবে না, এর সঙ্গে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানান তথ্য-উপাত্ত, উপাদান, নিদর্শন এবং নানান প্রামাণ্য শিল্পিত উপস্থাপনার সংযোজন হবে। 

মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের বাস্তবায়নাধীন বলয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংযোজন ও প্রস্তাবণার সহমত প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের নানামুখী ঘটনার স্মৃতি চিহ্ন, সংরক্ষণ বিট্রিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের কীর্তিগাথা ধারণ ও স্মরণের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা চাই।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী। মতবিনিময়ে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সচিব অভিক ওসমান, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চসিক সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকী, চবি সিনেট সদস্য মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু প্রমুখ। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়