Cvoice24.com

ট্রেন ছাড়তেই বিদ্যুৎ উধাও, অন্ধকারেই চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর গেল মেঘনা এক্সপ্রেস 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ৯ অক্টোবর ২০২১
ট্রেন ছাড়তেই বিদ্যুৎ উধাও, অন্ধকারেই চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর গেল মেঘনা এক্সপ্রেস 

চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় আন্তঃনগর ট্রেন মেঘনা এক্সপ্রেস। কিন্তু চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবার মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় দেওয়ানহাট এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করেই পুরো ট্রেনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো ট্রেন, সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর গুমোট পরিবেশ। এরকম অন্ধকার পরিবেশেই ট্রেনটি চাঁদপুরের পথে রওনা দেয়। মূলত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মার্শালিং ইয়ার্ডের কাজে গাফিলতি ও যথাযত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল শোয়া পাঁচটায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাবার পথে এমন ভোগান্তির স্বীকার হন মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী সাধারণ। এমন অবস্থায় কুমিরা স্টেশনে পৌঁছে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে তা ঠিক করতে গিয়ে দেখা যায়, লাইনের (বিদ্যুত সংযোগাংশ) এক ফেইস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করেও ঠিক করতে না পারায় এমন অন্ধকার ভীতিকর অবস্থায় চাঁদপুরের উদ্দেশে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরু করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অন্ধকারেই চাঁদপুরের উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছে।

মেঘনা এক্সপ্রেসের মো. কামাল নামে এক যাত্রী সিভয়েসকে মুঠোফোনে জানান, চাঁদপুর যাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনে উঠি। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে ট্রেনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনিতেই গরম তার ওপর রাতের বেলা এমন অন্ধকার অবস্থায় পুরো ট্রেন যাত্রী সবাই আতঙ্কিত হয়ে আছি আমরা। পুরো যাত্রা যদি এমন অবস্থায় হয় তাহলে তো ছোট বাচ্চা ও বয়ষ্করা গরমে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ব্যাপারেও শঙ্কা হচ্ছে। তবে মার্শালিং ইয়ার্ডের কাজে গাফিলতি ও যথাযত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণসহ একটি ট্রেন ছাড়ার আগে তার সবকিছু যাচাই করে দেখভাল করা হয় মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে। এখান থেকে সবকিছু পরীক্ষা করে তারপর ওই ট্রেনকে যাত্রার জন্য পাঠানো হয় স্টেশনে। অর্থাৎ কোন কিছুর ত্রুটি থাকলে তা মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে সারিয়ে আবার উপযুক্ত করা হয়।   

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মার্শালিং ইয়ার্ডের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ওবায়দুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইলেকট্রিক ব্যাপারে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু কি কারণে এই রকম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তার কারণ জানাতে পারেননি তিনি। 

মার্শালিং ইয়ার্ডের ইলেকট্রিক ফিটার আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলমের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি। 

মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে ট্রেনের সার্বিক ব্যাপার দেখভাল করার পরেও যাত্রীদের এমন চরম ভোগান্তির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিদ্যুৎ প্রকৌশলী শাকের আহমেদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

-সিভয়েস/ওয়াইআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়