Cvoice24.com

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের আশা মেয়রের 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ১১ নভেম্বর ২০২১
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের আশা মেয়রের 

জাইকার অর্থায়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায়, চসিকের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের রেল স্টেশন ও ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের বক্স আলী রোডে ২টি কনজারভেন্সি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে চসিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে চসিককে ৩৫টি প্রোটোটাইপ রিক্সা ভ্যান ও দুটি ওয়ার্ড কনজারভেন্সি অফিস হস্তান্তর করে জাইকা।

এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বর্জ্য অপসারণ ও বর্জ্যকে শক্তিতে পরিণত করতে তাদের (জাইকা) অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা একটি দৃষ্টান্তমূলক শুভ উদ্যোগ। এতে বর্তমান ও ভবিষ্যত দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হবার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে। জাইকা চসিকের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে নগরের বেশ কয়েকটি সড়ক উন্নয়নে সংস্থাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত একটি বন্দর নগরী। এই নগরকে ঘিরে বর্তমান সরকার কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল, বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ওয়ান সিটি টু টাউন রূপান্তর এবং চট্টগ্রাম বিশ্বের অর্থনৈতিক হাব হয়ে উঠবে। তবে বর্তমানে নগরীতে জলাবদ্ধতার সমস্যাটি তীব্র, এই সমস্যা সমাধানে সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যাটি থেকে নগরবাসী পরিত্রাণ পাবে।’
 
এ বিষয়ে জাইকা প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি আর বা রি-সাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।’

এদিকে, চসিকের মাস্টারপ্ল্যান (২০২১-২০৫০) অনুযায়ী প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে কম্প্যাক্টর ট্রাক জাইকা গ্রান্ট এইড-২০১৮ অনুযায়ী আছে। এতে আরও ১০০টি প্রোটোটাইপ রিক্সাভ্যান ইউনিট প্রয়োজন এবং আরও ১০টি ওয়ার্ডে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন বলে চসিক থেকে জাইকার কাছে চাহিদাপত্র দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ সাহেকি তাকেশি, রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাইকি মাতসুমোতো, এসডবিউএম প্রজেক্টের টিম লিডার মাসহিরো সাইতো, জাইকা’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. আব্দুল্লাহ বিন হোসাইন, এসডবিউএম’র ন্যাশনাল টিম লিডার মো. রোকনুজ্জামান, ডেপুটি টিম লিডার গোলাম সারওয়ার।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়