Cvoice24.com

কোন ডিজাইনে, কত খরচে কালুরঘাটে নতুন সেতু— রিপোর্ট মে মাসে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কোন ডিজাইনে, কত খরচে কালুরঘাটে নতুন সেতু— রিপোর্ট মে মাসে

কালুরঘাট নতুন সেতুর আগের ডিজাইন।

নানা জল ঘোলা করার পর চট্টগ্রামের কালুরঘাটে নতুন সেতু কেমন হবে তা নিরসন হতে যাচ্ছে আগামী মে মাসে। সেতুর উচ্চতা জটিলতায় পরিবর্তন হয় ডিজাইন। ফলে অর্থায়নসহ সব কিছু নতুন করে করতে হচ্ছে। ফলে আগের সব বাদ দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা যাচাইয়ের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় দাতা সংস্থা  কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংককে। তারা আগামী মে মাসে নতুন সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে সমীক্ষা রিপোর্ট ও ডিটেইলস ডিজাইন জমা দেবে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রেলপথে গতি আনতে কোন ডিজাইনে ও কত খরচে নতুন কালুরঘাট সেতু হবে তা জানা যাবে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর। 

তবে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ বলছে, নতুন সেতু নির্মাণের পেপার ওয়ার্ক করার পাশাপাশি পুরানো সেতুর সংস্কারের কাজও চলমান রয়েছে। নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর দরপত্র আহ্বান, প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন, একনেকে পাশসহ বিভিন্ন ধাপ পার করে নতুন সেতু তৈরীর কাজ দৃশ্যমান হতে সময় লেগে যাবে আরও বেশ কয়েক বছর। এ দীর্ঘ সময়ে কালুরঘাট হয়ে কক্সবাজারের রেলপথে গতি ধরে রাখতে জরাজীর্ণ পুরানো সেতুতে চলাচলের উপযোগিতা বাড়াতে কাজ করছে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাদের প্রস্তাব মেনে আগামী মাসেই সেতু সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করবে রেলওয়ে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. আহসান জাবির সিভয়েসকে বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে ফিজিবিলিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তখনই সেতুর ডিজাইন ও ব্যয় সম্পর্কে জানা যাবে। রিপোর্ট জমা দেয়ার পর বোঝা যাবে জান আলী হাট স্টেশনসহ অংশে কি পরিমাণে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।’

রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন করে কালুরঘাট সেতুর সমীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক রেলওয়ের কাছে দেখানো প্রেজেন্টেশনে কালুরঘাটে নতুনে সেতু নির্মাণের পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীতে আরেকটি সংযুক্ত টানেল, এলিভেটেড সেতুসহ বেশ কয়েকটি ডিজাইনও দেখিয়েছে। তবে সরকারের ফোকাস যেহেতু শুধুমাত্র সেতুর উপর তাই তারা সেদিকেই ফোকাস করতে বলেছে সমীক্ষা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে। সেই যাই হোক আগামী মে মাসের শেষে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেয়ার পরে স্পষ্ট হবে কেমন সেতু জুটছে কালুরঘাটবাসীর ভাগ্যে।

তবে ভায়াডাক্ট (স্থলভাগের উপরের অংশ) ও মূল সেতু মিলিয়ে নতুন সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় চার কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষায় ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় নতুন সেতু নির্মাণের জন্য জান আলী হাট স্টেশন থেকে রেললাইন উচ্চতার কাজটি শুরু হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে জান আলী হাট স্টেশন থেকে পরবর্তী চার কিলোমিটারে কি পরিমাণে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের কালুরঘাটে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১৫১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তবে রেলসংযোগসহ সড়ক সেতুটি কারা কথা ছিল কর্ণফুলী নদীর নাব্য থেকে ৭ দশমিক ৬ মিটার উচ্চতায়। পরে অর্থায়ন ও নকশা চূড়ান্ত হলেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আপত্তিতে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রেল সংযোগসহ সড়ক সেতু নির্মাণের নির্দেশ দেন। এরপর দ্বিতীয় কালুরঘাট সেতু প্রকল্পে গতি আসে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৯ মে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে কোরিয়ান দাতা সংস্থা ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সেখানে নতুন সেতুর অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইডিসিএফ। এরপর গত বছরের নভেম্বর দিকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইলড ডিজাইন তৈরীর কাজ শুরু করতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় সংস্থাটি।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়