Cvoice24.com

কোর্ট হিলে ভবনের নকশা অনুমোদন করে দুদকের জালে সিডিএ’র কর্মকর্তারা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৮ এপ্রিল ২০২২
কোর্ট হিলে ভবনের নকশা অনুমোদন করে দুদকের জালে সিডিএ’র কর্মকর্তারা

অবৈধভাবে কোর্ট হিলে সরকারি খাস জমিতে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ওপর এবার নজর পড়েছে দুনীর্তি দমন কমিশনের (দুদক)। এরআগে, গত ৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহমুদুর রহমান হাবিব নকশা অনুমোদনকারীদের তথ্য চেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এবার দুদকের হট লাইন ১০৬— এ অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সিডিএ কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন দুদকের একটি টিম। পাশাপাশি দুদকের টিম কথা বলেছেন সিডিএ সচিবের সঙ্গেও। ঈদের ছুটির পর আবার সিডিএ কার্যালয়ে সব নথিপত্র পর্যালোচনার পাশাপাশি অভিযুক্ত কর্মকর্তাদেরও মুখোমুখি করা হবে দুদকের।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক আবু সাঈদ সিভয়েসকে জানান, দুদকের হটলাইন ১০৬— এ কল পেয়ে কোর্ট হিলে সরকারি খাস জমিতে ভবনের নকশা অনুমোদনের বিষয়ে তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের একটি অভিজানিক দল সিডিএ কার্যালয়ে যায়। সিডিএ সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। ঈদের ছুটির পর পূর্ণাঙ্গ রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে। 

এরআগে, গত ৭ এপ্রিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহমুদুর রহমান হাবিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে। সেই চিঠিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামস্থ পরীর পাহাড়ে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমিতে আইনজীবীদের পাঁচটি বহুতল ভবন অনুমোদন কার্যক্রমের সাথে জড়িত সিডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবী, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা (স্থায়ী/ বর্তমান ঠিকানা), মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৩-২০০৪, ২০০৪-২০০৫, ২০০৮-২০০৯ এবং ২০১৪-২০১৫ সালে পরীর পাহাড়ে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমিতে বিধি-বহির্ভূতভাবে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করেছে সিডিএর কিছু কর্মকর্তা। এরপর গত বছরের আগস্টে আইনজীবী সমিতি আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তখন সেটিতে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পরে সরকারের ২৫টি দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে কোর্ট হিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই সিডিএর জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে চিঠি দিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেওয়া চিঠিতে সিডিএ চেয়ারম্যানকে নকশা অনুমোদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথিসমূহের নোটশিটের ফটোকপি,  সভার কার্যবিবরণী, অনুমোদিত নক্সার কপি, অনুমোদনের বিবরণী সীটও মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়