Cvoice24.com

২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপান-তামাকমুক্ত করার তাগিদ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ২৩ জুন ২০২২
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপান-তামাকমুক্ত করার তাগিদ

‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সাবিনা ইয়াসমিন।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ধূমপান ও তামাকমুক্ত দেশ গড়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সাবিনা ইয়াসমিন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে করণীয়’ বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে মানুষ মারাত্মক জঠিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে আয়ুষ্কাল। এরপরও ধূমপায়ীরা সচেতন হচ্ছে না। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও খোলা জায়গায় ধূমপান করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে আমাদের সন্তানেরা ধূমপানে জড়িয়ে পড়ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ধূমপান ও তামাকমুক্ত দেশ গড়তে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বিষয়ে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। সিগারেটের মোড়কে যে সতর্কবাণী দেয়া হয়, সেটা আরও দৃশ্যমান করতে হবে। ধূমপানে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাইনবোর্ড টাঙানো যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২শ’ গজের মধ্যে সিগারেট ও তামাক জাতীয় দ্রব্যের দোকান থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থী ও কিশোরদেরকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে পারিবারিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০০৫ সালে সরকার যখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রনয়ণ করেন তখন প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান ছিল মাত্র ৫০ টাকা, ২০১৩ সালে করা হয় ২শ’ টাকা। বর্তমানে প্রকাশ্যে ধূমপানে জরিমানা ৩শ’ টাকা। শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দিলে হবে না। ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার রোধে সর্বত্র সভা, সেমিনারের মাধ্যমে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে তামাক চাষ বন্ধ করে দিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়