Cvoice24.com

রেলের আপত্তি টিকেনি, লিংক রোডে সিডিএকে ওভারব্রিজ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সায়

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
রেলের আপত্তি টিকেনি, লিংক রোডে সিডিএকে ওভারব্রিজ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সায়

রেলওয়ের আপত্তিতে আটকে থাকা ওভার ব্রিজের কাজ

রেলওয়ের আপত্তিতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে ওভারপাসপাস দুটি নির্মাণে সায় মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর। রেলওয়ে ডাবল ডেকার ট্রেন চলাচলের কথা বলে উচ্চতা নিয়ে আপত্তি তুলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছিল ওভারব্রিজ দুটির কাজ। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সাড়ে সাত মিটার উচ্চ ধরেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস উচ্চতা বজায় রেখে ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি সিভয়েসকে বলেন, উচ্চতা নিয়ে দীর্ঘদিনের আপত্তির বিষয়টি আজকে সুরাহা হয়েছে। ওই পথ দিয়ে রেলওয়ে ডাবল ডেকারের ট্রেন আসার কথা থাকলেও সেটি আসবে না। প্রধানমন্ত্রী ব্রিজগুলো অতিসত্ত্বর নির্মাণের করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। ওভারব্রিজের কাজ শেষ করতে আমাদের দু মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা আশা করছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারলে বায়োজিদ লিংক রোডের কানেকভিটি দিতে পারবো। 

২০১৬ সালে রেললাইনের ওপর ওভারপাসের জন্য রেলওয়ে নির্ধারিত উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৫ মিটার। ২০১৮ সালে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ মিটার। রেলওয়ে সাড়ে সাত মিটার উচ্চতা ধরেই ওভারপাস দুটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। তবে এতে বাঁধ সাধে রেলওয়ে। ডাবল ডেকার ট্রেন চলাচলের কথা বলে ২০২০ সালে উচ্চতা বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ মিটার করতে বলে রেলওয়ে। যদিও ততদিনে প্রায় কাজ শেষ করে সিডিএ। বাকি ছিল স্প্যানের মধ্যে গার্ডার বসানোর কাজ। তিন বছরেও উচ্চতা নিয়ে কোনো সমাধান না পেয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পাশপাশি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নালিশ করেছিলেন সিডিএর কর্মকর্তারা।

পরে রেললাইনের ওপর ওভার ব্রিজের নির্মাণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে একটি চুক্তি করে সংস্থাটি। চুক্তিতে চলতি প্রকল্পটি বিদ্যামান অবস্থায় শেষ করার বিষয়ে সিডিএর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়। রেলওয়ে কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হলে পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী দু বছর আগে ওভার ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলার কথাও বলে সংস্থাটি। তবে এতেও কোন কাজ হয়নি।

উল্লেখ্য, যানজট নিরসণ ও সড়ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি যুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালে একনেকে ৩২০ কোটি টাকার চার লেনের সড়কটির সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়। তবে সম্প্রতি ৩২ কোটি বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি টাকা। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়