Cvoice24.com

১০ দাবিতে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি শ্রমিক নেতাদের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
১০ দাবিতে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি শ্রমিক নেতাদের

পূর্বঘোষণা ছাড়া চালক, শ্রমিক ও কর্মচারিদের কর্মবিরতিতে চরমদূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। ফাইল ছবি

নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে ১৯৮৫ সালের ন্যায় সকল প্রকার নিয়োগ ও পদোন্নতি, দীর্ঘদিনের মাইলেজ ইস্যু এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে ব্যানার সাঁটানোসহ দফায় দফায় বৈঠক করছেন নেতারা। দাবি আদায় না হলে আবারও রেল চলাচল অচল করে দেওয়ার হুঁমকিও দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান আকন্দের সাাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে ১৯৮৫ সালের ন্যায় সকল প্রকার নিয়োগ ও পদোন্নতি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা। মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটাসহ সকল কোটা নিশ্চিত এবং ব্লক পদসমূহে পদোন্নতির ব্যবস্থা, রেল কোড ভলিউম এর মাধ্যমে রেল পরিচালনা করা, আইবাস এবং জিও সংক্রান্ত জটিলতা অবসান করে নির্ধারিত তারিখে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা, অবিলম্বে রানিং কর্মচারীদের মাইলেজ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় বন্ধ করে অবিলম্বে রেললাইন সংস্কার ও সকল রেললাইন ডুয়েল গেজে রুপান্তর করা, রেল প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সকল অপকর্ম তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, রেলওয়ের সকল হাসপাতাল আধুনিকায়নের ব্যবস্থা, টেন্ডারের নামে অপ্রয়োজনীয় ও নিম্মমানের মালামাল ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ, আউট সোসিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে গেইট কিপারসহ কর্মরত সকল অস্থায়ী ও টিএলআর কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করা। সর্বশেষ সহজ অ্যাপসের পরিবর্তে রেলওয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টিকেট পরিচালনা করা এবং সিবিএ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিভয়েসকে বলেন, বহুকাল ধরে রেলওয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৬০ বছর ধরে যে ধরনের সুবিধা চালু ছিল দিন দিন এসব সুবিধা খর্ব করা হচ্ছে। কমিয়ে দেওয়া ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এসব দাবির বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্মকর্তাদের চিঠি, স্মারকলিপি দিয়েছি, আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কিছুতে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসন বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের সুবিধাগুলো বাদ দিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে রেলওয়ে শ্রমিকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদেরর বাধ্য হয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে নেতারা ১০ দফা দাবির বিষয়ে একমত হয়েছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা পোস্টার করেছি। এছাড়া ঢাকা, সিআরবি, পাকশী, লালমনিরহাটসহ ১০ টি জায়গায় আমরা মিছিল ও বৈঠক করবো। আপাতত এই কর্মসূচির থেকে নেতারা পরবর্তী দিক নির্দেশনা ঘোষণা করবেন। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাইলেজ ইস্যুতে আন্দোলন করে আসছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। দাবি আদায়ে সভা-সমাবেশ, মিছিল ছাড়াও স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন আন্দোলনকারীরা। সর্বশেষ দাবি আদায়ে গেল ১৩ এপ্রিল সারাদেশে রেল চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। এর সঙ্গে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতারা নতুন করে আন্দোলনে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়