Cvoice24.com

মশা ‘মারতে’ শতভাগ সফল চসিক মেয়র— দাবি সচেতন নাগরিক সমাজের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১৯ মার্চ ২০২৩
মশা ‘মারতে’ শতভাগ সফল চসিক মেয়র— দাবি সচেতন নাগরিক সমাজের

জনদুর্ভোগ ও মশা মারায় (নিয়ন্ত্রণে) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শতভাগ সফল বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন। 

রবিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির মুখপাত্র এই দাবি করেন। গত ১৬ মার্চ নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতাদের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা জবাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে ও মশা মারতে মেয়র শতভাগ সফল হয়েছেন। এখানে প্রচুর মশার জন্ম হয়। পানি চলাচল বন্ধ থাকলে মশার জন্ম হয় বেশি। মশার বংশবিস্তার রোধ করার জন্য মেয়র অনেক কাজ করেছেন। আমি মনে করি মশা মারতে চট্টগ্রামের মেয়র সফল।’

তদের দাবি, করদাতা সুরক্ষা পরিষদ আন্দোলনের নামে নগরভবনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা এবং নগরবাসীকে গৃহকর বিষয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ মার্চ করদাতা সুরক্ষা পরিষদের কর্মসূচিতে সাধারণ জনগণ সাড়া না দিয়ে চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষেই অবস্থান নেয়। গত ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে তারা মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর অনুসারীদের হামলা বিষয়ক যে মন্তব্য করেছেন, তা চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রকাশিত সংবাদপত্র গুলোর মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এতে আমরা মর্মাহত। তাদের এ বক্তব্য খুবই দুঃখজনক, তারা আমাদেরকে মাননীয় মেয়রের অনুসারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা কোন ভাবেই সঠিক নয়। তারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছেন।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সেদিন নগর ভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করি। এর আগে গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি, ওদিনই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সাধারণ নগরবাসীকে নিয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ করবো। এছাড়া আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে গৃহকর বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা। আর যারা বিএনপি-জামায়াতের মদদপৃষ্ট হয়ে গৃহকর বিষয়ে জনগণকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন, বিভ্রান্ত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ করব।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা গৃহকরকে ‘অন্যায্য’ গৃহকর হিসেবে প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এতে তারা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলে আমরা মনে করি, কারণ সহনীয় পর্যায়ে গৃহকর নির্ধারণ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রিভিউ বোর্ড। সেই গৃহকর পরিশোধ করে আমরাও চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। একারণে নগরীর বাসিন্দা যে কেউ কর সার্কেল থেকে ফ্রি আপিল ফরম গ্রহণ করতে পারছেন। আপিল কার্যক্রম শেষে গণআপিল শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। এরপর তারা সহনীয় ও সামর্থের মধ্যে হাসিমুখে গৃহকর পরিশোধ করে চট্টগ্রামের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছেন। 

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ নামের এ সংগঠনের সূচনা ২০২০ সালে হলেও গত ১৪ মার্চের মানববন্ধনই প্রথম কর্মসূচি ছিল বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সঠিকভাবে নিজেদের অবস্থানের বিষয়টিও জানাতে পারেননি তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সহ যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং ইয়াছিন আরাফাত কচি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়