Cvoice24.com

পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ, এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৮ মে ২০২৩
পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ, এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় এক মাসেও প্রতিবেদন দিতে পারে নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তদন্ত কমিটি। অথচ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা। গত ৭ এপ্রিল বেলতলী ঘোনা এলাকায় রাস্তা করতে পাহাড় কেটে গাইড ওয়াল নির্মাণের সময় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এ কমিটি করে সিটি করপোরেশন। যদিও একই ঘটনায় জেলা প্রশাসনও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত সেই তদন্ত কমটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, বেলতলীঘোনার পাহাড়তলী মৌজায় প্রায় ১১ একর আয়তনের পাহাড়টির মালিক ‘অগ্রণী ব্যংক অফিসার্স কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি। কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণের কাজ তত্ত্বাবধান করছিলেন। গত ৭ এপ্রিল পাহাড় কেটে সড়কের গাইড ওয়াল দেওয়ার সময় আকবর শাহ’র বেলতলী ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে এক শ্রমিক নিহত হয়। আহত হন আরও চারজন। অথচ পাহাড় ধসের ঘটনার দুই মাস আগে সেখানেই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছিল। সেসময় পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে একজনকে গ্রেপ্তার করে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জব্দ করা হয়েছিল পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত এস্কেভেটর। এমনকি জেলা প্রশাসন থেকে পাহাড়কাটা বন্ধের নির্দেশ দিলেও সেটা মানে নি চসিক।

ওইদিনই (৭ এপ্রিল) পাহাড়ধসের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। 

একই ঘটনায় ১১ এপ্রিল চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এক সপ্তাহের ভেতর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কেটে গেছে গোটা পাচঁ সপ্তাহ। কমিটি এখন পর্যন্ত তা জমা দেয়নি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সিভয়েসকে বলেন, ‘পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটার কাজ চলমান আছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহের ভেতরে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।’

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, ‘আগেও বলেছি এখনো বলছি কোনো ব্যক্তির দায় করপোরেশন নিবে না। তদন্ত কমিটি এখনো তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়নি। প্রতিবেদন পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে, গত ১১ এপ্রিল একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অননুমোদিতভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) দুই প্রকৌশলী এবং নয় নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়। 

এছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগে এক-দুই বার নয় চারবার মামলা হয়েছে এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেসব মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হলেও কখনো তিনি গ্রেপ্তার হননি। বহাল রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটি প্রধানের গদিতেও।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়