Cvoice24.com

আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চট্টগ্রাম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২০ মে ২০২৩
আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চট্টগ্রাম

বকেয়ায় ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামের উন্নয়ন আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শনিবার (২০ মে) নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড হালিশহরে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গাজী হালদা সড়কের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় প্রকল্প উল্লেখ করে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যে মেয়র হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত করে বললাম, আমাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিন, আমি চট্টগ্রামকে বদলে দিব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পতো দিলেনই, সাথে পুরো প্রকল্পের টাকা সরকারি ফান্ড থেকে দিলেন। বকেয়ায় ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামের উন্নয়ন এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ালো। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে যোগাযোগখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছি আমি। জনগণকে বলব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আপনারা কাজ করুন, চট্টগ্রাম বদলে যাচ্ছে, আপনাদের ভাগ্যও বদলে যাবে। চট্টগ্রাম হবে বিশ্বের বাণিজ্যের হাব এবং বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র।’

গাজী হালদা সড়কের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই কাঁচা সড়কটি পাকা করার ব্যাপারে জনগণের দাবি ছিল। তবে উদ্যোগের এ অভাবে একসময় বেদখল হতে হতে এ সড়কটি আইলে পরিণত হয়। কাউন্সিলর ইলিয়াসের মাধ্যমে জনগণ আমাকে এ সড়কটি তৈরি করে দিতে বললে আমি সাড়ে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ২৮ ফুট সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সফল হয়েছি। এ সড়কে আলোকায়ন এবং উন্নত ড্রেনেজ সিস্টেমও নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দর, পতেঙ্গা, বন্দরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার যোগাযোগে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এর আগে মেয়র ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মতি তালুকদার বাড়ি রোডের উদ্বোধন করেন। এই সড়কটি না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর বর্ষাকাল কাটতো চরম ভোগান্তিতে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল বিষয়টি মেয়র রেজাউলকে অবহিত করলে ড্রেনেজ সিস্টেমসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ উঁচু করে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়