Cvoice24.com

খরায় উপকূলবাসীর তৃষ্ণা মেটাবে বৃষ্টির পানি

দেবাশীষ চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
খরায় উপকূলবাসীর তৃষ্ণা মেটাবে বৃষ্টির পানি

খরা মৌসুমে খাওয়া যাবে ধরে রাখা বৃষ্টির পানি। বাড়ির চালা থেকে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানি দুই স্তরের ফিল্টারিংয়ের পর জমা হবে তিন হাজার লিটার পানির ট্যাঙ্কে। পাঁচ সদস্যের পরিবারে প্রতিজন দৈনিক ৪ লিটার পানি খরচ করলেও অন্তত পাঁচ মাস সুপেয় পানির জোগান হবে জমানো বৃষ্টির পানিতে। এভাবে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং পদ্ধতিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, আনোয়ার ও সন্দ্বীপের পাঁচ উপকূলীয় ইউনিয়নে পানির যোগান দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, বাড়বকুণ্ড, আনোয়ারার রায়পুর ও সন্দ্বীপের উড়িরচর, মগধরা ইউনিয়নে সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে রেইনি ওয়াটার হারভেস্টিং প্রকল্প। বাড়ির চালার সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাঙ্ক। বৃষ্টির পানি দুই লেয়ারের ফিল্টারে পরিশোধিত হয়ে জমা হবে ওই ট্যাঙ্কে। প্রথম লেয়ার পরিশোধিত হবে পানির সাথে থাকা পাতা, ময়লার মতো বড় উপাদান। পরের ধাপে পরিশোধিত হবে পানিতে থাকা ক্ষুদ্র কণা ও ব্যাক্টেরিয়া। প্রতি পরিবারে পাঁচজন সদস্য হিসেব করে জনপ্রতি চার লিটার পানির প্রয়োজন ধরা হয়েছে। সে হিসেবে ট্যাঙ্কে জমা হওয়া পানি চলবে অন্তত পাঁচ মাস।

চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস সিভয়েসকে বলেন, ওয়াটার হারভেস্টিং প্রকল্প বিশেষত খরা মৌসুমে ৫ মাস পানি পান করতে পারবে। যখন অতি মাত্রার গরমে কারণে পুকুর-জলাশয়ের সহ, মাটির ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাবে তখন ফিল্টারিং করা পানি পান করতে পারবে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। চট্টগ্রামের তিন উপজেলা পাঁচ ইউনিয়নে আমাদের এ প্রকল্প চলমান।

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্পের পরিচালক  নূর আহাম্মদ সিভয়েসকে বলেন, দেশের ৪৪ উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে খাওয়ার ব্যবস্থার এ প্রকল্প। সীতাকুন্ডের পাশাপাশি সন্দ্বীপের উড়িরচর, মগধরা ও আনোয়ারার রায়পুরে বসানো হচ্ছে ওয়াটার হারভেস্টিং ট্যাঙ্ক। ইতিমধ্যে এই দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নে বরাদ্দ হয়েছে দেড় হাজার ট্যাঙ্ক। তাছাড়া সন্দ্বীপে আমাদের কাজ চলমান। 

nagad

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়