কক্সবাজার রেললাইনের জন্য আলাদা বাইপাস হবে নগরে
দেবাশীষ চক্রবর্তী
সরাসরি কক্সবাজারের পথে ছুঁটবে ঢাকার ট্রেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের পথে না গিয়ে সরাসরিই যাতে কক্সবাজারের পথ ধরতে পারে এজন্য নির্মাণ করা হবে আলাদা বাইপাস লেইন। ওই বাইপাস ধরে ঢাকা থেকে আসা ট্রেন পাহাড়তলী স্টেশন হয়ে ধরবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পথ।
জানা গেছে, অল্প সময়ে কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেন চালানোর জন্য নির্মাণ করা হবে বাইপাস লেইন। বাইপাস লেইনের দূরত্ব হবে দেড় কিলোমিটার। কক্সবাজারগামী ঢাকা থেকে আসা ট্রেন পাহাতলী স্টেশন এসে পথ ধরবে মারশালীং ইয়ার্ডের দিকে। পরে আমবাগান বাইপাস ব্যবহার করে ট্রেন পোঁছাবে ষোলশহর স্টেশনে। আগামী বছরের জুলাই মাসে শুরু হবে নির্মাণের কাজ।
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবেদুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বাইপাস লেন নির্মাণ করা হবে। তা না হলে ঢাকা থেকে আগত ট্রেন অপেক্ষা করতে হবে চট্টগ্রাম স্টেশনে। পরে পুনরায় ইঞ্জিন সান্টিং করে নতুন করে আবার ট্রেনের সাথে যুক্ত হবে। এতে সময় ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যাবে। আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে বাইপাস লেইন হবে দেড় কিলোমিটার। তাই ঢাকা থেকে ট্রেন সরসরি আমবাগান পথ ধরে ষোলশহর স্টেশন হয়ে কক্সবাজার পথে চলে যাবে।
এ বাইপাস লেনের জন্য আমবাগান রেলওয়ের শহীদ মিনার কলোনী বাসিন্দাদের টাইগারপাস রেলওয়ে কলোনি এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিরা। এসময় কলোনীর বাসিন্দাদের টাইগারপাসের রেলওয়ে কলোনীতে স্থানান্তরের প্রস্তাব করেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা। নিচু এলাকার হওয়ায় সেখানে জলাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বাইপাসের জন্য বাসিন্দারা ফৌজদারহাটে বিকল্প জায়গা প্রস্তাব করেন।
কলোনীর বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, বাইপাস লেইন হলে আমাদের মোট ১২টি ঘর ভাঙ্গা হবে। পরে এই মানুষদের টাইগার পাস এলাকায় স্থানান্তর করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। নিচু এলাকা হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে ওই এলাকায়। তাছাড়া সেখানে অনেক ঘর এখন পরিত্যক্ত। আমরা এসব বিষয় ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। ওনারা আমাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে রেআবিদুর রহমান বলেন, আজকে আমরা রেলওয়ে শহীদ মিনার কলোনী এলাকার বাসিন্দাদের সাথে বৈঠক করেছি। এখানে যারাই আছে তাঁরা সবাই রেলওয়ের বিভিন্ন পদে কর্মরত। তারা আমাদের বিকল্প কিছু পরিকল্পনা দিয়েছেন। এরমধ্যে ফৌজদারহাট পাহাড়ি এলাকা দিয়ে রেল লাইন করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে পাহাড় কাটা পরবে। তারপরেও আমরা বিকল্প পথের চিন্তা করবো।