চট্টগ্রামে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ট্রেনে স্বস্তি
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ‘ঈদ স্পেশাল ট্রেন’ চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। আগে থেকে ট্রেনযাত্রায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় হবে মনে করা হলেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রথম দিনে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক। তবে দুপুর গড়াতেই এক পশলা ঝুম বৃষ্টি কিছুটা ভোগান্তি বাড়ালেও ঘরে ফেরার আনন্দের কাছে সব ম্লান যাত্রীদের কাছে।
বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে শুরু হয় ট্রেনে ঈদযাত্রা।
ঈদের আগে ঘরের ছাউনি ঠিক করতে হবে টাঙ্গাইল নিবাসী ইকবাল হোসেনের। সারতে হবে ঘরের আরও খুঁটিনাটি কাজ। সব শেষ করতে কমপক্ষে তিনদিন সময় লাগবে। তাই ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি শুরুর আগে মহানগর এক্সপ্রেসে চড়ে নিজবাড়িতে ছুটছেন তিনি। সফরসঙ্গী হিসেবে আছে তিন বছরের কন্যা ও স্ত্রী।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো মায়ের সাথে নিজবাড়ি গাজীপুর যাচ্ছে ৫ বছর বয়সী নাদির ইসলাম। মাথায় টুপি আর পরনে নীল জামা পড়ে জানালার পাশে ট্রেন ছাড়ার প্রহর গুনছে শিশুটি। বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জন্মের পর থেকে নানান ঝক্কি-ঝামেলায় নাদিরকে নিয়ে তার দাদার বাড়ি যাওয়া হয়নি। বিভিন্ন সময় দাদার বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরতো সে। অবশেষে আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আল্লাহ রহমতে রাত ১০টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছাবে নাদির ও তার মা।’
অন্যদিকে ৪নং প্লাটফর্ম দাঁড়িয়ে থাকা মহানগর এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে ৫ নং প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ইঞ্জিন ঘুরানোর অপেক্ষায় ২০ মিনিট সময় প্রয়োজন। তাই প্লাটফর্মে নামলো কক্সবাজারবাসী নীলিমা আক্তার। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে ট্রেনে করে পরিবারকে সাথে নিয়ে বাপের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করবেন এই নারী। তিনি বলেন, ‘রেল চালু হওয়ার পর এই প্রথম বাচ্চাদের নিয়ে কক্সবাজারে বাড়িতে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম অনেক ভিড় হবে। কিন্তু এসে দেখলাম ভিড় সব স্বাভাবিক। আশাকরি নিরাপদে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারবো।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘অন্য সময়ের মতো ঈদযাত্রার প্রথম দিনে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক। ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের আসন প্রায় খালি ছিল। আগামী দুদিন পর যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।’