Cvoice24.com

‘পুঁথিশালাটি দেখে আমি অভিভূত’

প্রকাশিত: ১২:১০, ২২ এপ্রিল ২০১৮
‘পুঁথিশালাটি দেখে আমি অভিভূত’

পটিয়ায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন পুঁথিবিশারদ আবদুস সাত্তার চৌধুরী। ছবি : মিনহাজ

বাঙালির শেকড় তো পড়ে আছে এ অজো পাড়া গাঁয়ে! আমি অভিভূত হলাম এ পুঁথিশালাটি দেখে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অযত্নে পড়ে আছে। এ সম্পদগুলো রক্ষা করতে হবে। আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালায় রক্ষিত অমূল্য সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার হলে বাঙলা সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হবে। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি, সত্যিই আমি অভিভূত। আজ রোববার সকাল ১১ টায় পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ হুলাইন গ্রামে পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী পরিচালিত পুঁথিবিশারদ আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালা পরিদর্শনে গিয়ে এসব মন্তব্য করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। পরিদর্শনে এসে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান স্থানীয় গুণীজনদের সাথে পুঁথিশালায় এক আড্ডায় মিলিত হন। 


আড্ডায় শামসুজ্জামান খান আরো বলেন, বাঙালির অধুনালুপ্ত সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালায়। পুঁথিশালাটি পরিদর্শনে এসে বাংলা সাহিত্য নিয়ে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এ পুঁথিশালায় বাংলা সাহিত্যের হারিয়ে যাওয়া অনেক দলিল, তথ্য, উপাত্ত ও পুঁথি রয়েছে। এছাড়াও লোকসাহিত্যের হারানো ঐতিহ্য রয়েছে। পুঁথিশালাটি সংরক্ষণ ও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হলে লোকসাহিত্য গবেষকদের জন্য সহায়ক হবে। 

তিনি বলেন, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের পর চট্টগ্রামে পুঁথি সাহিত্যে আবদুস সাত্তার চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য। সাত্তার চৌধুরী বাংলা একাডেমি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুঁথি সংগ্রাহক ছিলেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ পুঁথিশালাটি সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ইন্তেকালের পর তার সুযোগ্য সন্তান ইসহাক চৌধুরীও অনেক অধুনালুপ্ত পুঁথি সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে ইসহাক চৌধুরী বাবার নামে পুঁথিশালা প্রতিষ্ঠা করে বাঙালীর শেকড় আঁকড়ে ধরে আছেন। এর পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা জান্নাতুল নাঈমাকে এ পুঁথিশালার দায়িত্ব দিয়েছেন। আশাকরি তার মেয়ে এ পুঁথিশালাটি রক্ষণাবেক্ষন করে গবেষণা চালিয়ে যাবেন। 


মহাপরিচালক বলেন, ইসহাক চৌধুরীর বাড়িতেই আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালার আধুনিকায়নে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এছাড়াও বাংলা একাডেমি থেকে সাত্তার চৌধুরীর জীবনী প্রকাশ করার উদ্যোগ ও তাঁর সংকলিত ও সংগৃহিত পুঁথি পরিচয়সহ আলাদা পুস্তক প্রকাশেরও উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালায় পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, গবেষক আহমেদ মমতাজ, পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী, সাংবাদিক ও গবেষক শামসুল হক, সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, সাত্তার চৌধুরীর দৌহিত্র লেখক ও ছড়াকার ঈসমাইল জসীম, সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যাংকার ফারুক খান চৌধুরী, জান্নাতুল নাঈমা, ভাস্কর হামিদ প্রমুখ।
 

28

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়