Cvoice24.com

কক্সবাজারে ভিজিএফ’র চাল পাচ্ছে দেড় লাখ পরিবার

প্রকাশিত: ১৩:৫৭, ২৯ মে ২০১৮
কক্সবাজারে ভিজিএফ’র চাল পাচ্ছে দেড় লাখ পরিবার

ছবি: প্রতীকি

পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জেলায় দেড় লাখ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হচ্ছে। 

ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করে আসছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর জেলার ৭১ ইউনিয়নের ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৪০টি পরিবারের জন্য সমান সংখ্যক ভিজিএফ এর কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কার্ডের বিপরীতে সুবিধাভোগি পরিবারের লোকসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন। অর্থাৎ জেলার ৬ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন অসহায় দুঃস্থ লোক উক্ত ভিজিএিফ কর্মসূচির মাধ্যমে সুফল ভোগ করবে। ইতোমধ্যে জেলায় ১ হাজার ৪শ ৭১ দশমিক ৪শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে ত্রান ও পুর্নবাসন অধিদপ্তর।

জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন র্কাযালয় সূত্রে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় অসহায় দুঃস্থ জনগোষ্ঠির জন্য ভিজিএফ কর্মসূচিতে কক্সবাজার জেলায় ৬ লাখ ৬৩ হাজার গরীব প্রান্তিক মানুষের জন্য ১ হাজার ৪শ ৭১ মে.টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। ইতোমধ্যে জেলার ৭১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে উপকারভোগির তালিকা প্রস্তত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা ভিত্তিক উপকারভোগির সংখ্যা এবং চাল বরাদ্দের পরিমান হলো- চকরিয়ায় ১৮ ইউনিয়নে ২৭,৬৩৮ কার্ডের তথা পরিবারের জন্য ২৭৬.৩৮০ মেট্রিক টন। কক্সবাজার সদরের ১০ ইউনিয়নের ১৮,৪৪০ পরিবারের জন্য ১৮৪.৪০০ মেট্রিক টন। কুতুবদিয়ায় ৬ ইউনিয়নের ৭৮৮২ পরিবারের জন্য৭৯.৮২০ মেট্রিক টন। মহেশখালীর ৮ ইউনিয়নের ২৮,৫২৬ পরিবারের জন্য ২৮৫.২৬০ মেট্রিক টন। পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের ১১,০২৭ পরিবারের জন্য ১১০.২৭০ মেট্রিক টন। রামুর ১১ ইউনিয়নের ১৮,৭৩৭ পরিবারের জন্য ১৮৭.৩৭০ মেট্রিক টন। টেকনাফের ৬ ইউনিয়নের ১৮,৭৩০ পরিবারের জন্য ১৮৭.৩০০ মেট্রিক টন। উখিয়ার ৫ ইউনিয়নের ১৬,০৬০ পরিবারের জন্য ১৬০.৬০০ মেট্রিক টন চাল।

ভিজিএফ এর চাল বিতরণ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, সদরের ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে সব চাল পৌছে দেওয়া হয়েছে। তারা বিতরণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন । আশা করি আগামি সপ্তাহ থেকে বিতরণ শুরু করতে পারব। তিনি নিজে কয়েকটি ইউনিয়নে উপস্থিত থেকে ১০ কেজি করে উপকারভোগিদের হাতে চাল তুলে দেবেন বলে জানান।

চাল বিতরণের প্রস্তুতি বিষয়ে সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, এবার যেহেতু ৭০ শতাংশ মহিলাকে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে কারণে আমরা তালিকা প্রস্তুত করছি বেশ সর্তকতার সাথে। আশাকরি ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে তালিকা চুড়ান্ত করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে জমা দিয়ে বিতরণ শুরু করতে পারব। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং প্রকৃত দরিদ্র উপকারভোগিদের তালিকা প্রস্তুত করতে আমি সকল মেম্বারদের নির্দেশ প্রদান করেছি।

সিভয়েস/এএন/এমআইএম

আজিম নিহাদ, কক্সবাজার

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়