Cvoice24.com

বিজয়ের হাত ধরে সিলেটের প্রথম জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
বিজয়ের হাত ধরে সিলেটের প্রথম জয়

তারকাখচিত ঢাকার বিপক্ষে আসরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। দীর্ঘ ৪০২ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। বল হাতে দলকে এনে দিলেন প্রথম ব্রেক থ্রুও। কিন্তু জয় নিয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়া হলো না তার। ব্যাটারদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় মাত্র ১০০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল মিনিস্টার ঢাকা। জবাবে উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৮ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই বিশাল ব্যবধানে জয় পায় মোসাদ্দেক সৈকতের দল। সিলেটের দুই ম্যাচে প্রথম জয় হলেও ঢাকার চার ম্যাচে তৃতীয় হার। 

মিরপুরে ১০১ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংস শুরুর বলেই আউট হতে পারতেন লিন্ডলে সিমন্স। রুবেলের করা প্রথম বলটিই ব্যাটের পাশ গলে শেহজাদের বিশ্বস্ত হাতে চলে যায়। জোরালো আবেদনের পরও সাড়া দেননি আম্পায়ার। রুবেলের ওই ওভার থেকে রান আসে মোটে একটি। 

দ্বিতীয় ওভারেই হাতে বল তুলে নেন ৪০২ দিন পর মাঠে ফেরা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এক চার ও তিন সিঙ্গেলে নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৭ রান। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বিপজ্জনক হতে যাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটার সিমন্সকে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান ম্যাশ। 

আউট হওয়ার আগে সিমন্স দুই চারে করেছেন ২১ বলে ১৬ রান। সিমন্সের পর মিথুন আর বিজয় মিলে ভালোই এগোচ্ছিলেন। ফিল্ডারদের নিশ্চিত দুটি ক্যাচ মিসে আরও বাড়ন্ত হয় তাদের ইনিংস। তবে শেষ পর্যন্ত মিথুন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। চিরাচরিত ব্যাটিং খেলে ১৭ বলে করেছেন ১৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

তবে আজ দিনটা ছিল এনামুল হক বিজয়ের। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ঢাকার প্রথম ব্যাটার শেহজাদকে স্টাম্পিং করে ফিরিয়েছিলেন। এবার ব্যাট হাতেও দলকে নেতৃত্ব দিলেন। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। করেন ৪৩ বলে ৪৫ রান। তবে দলের জয় থেকে মাত্র দুই রান দূরত্বে থাকতে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। তবে তার আগে মূল্যবান ইনিংস খেলে বলতে গেলে দলকে জয়ের দোড়গোড়ায় নিয়ে যান তিনি।

প্রথম ইনিংসে তারুণ্য নির্ভর সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি তারকাবহুল ঢাকা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে কোনোরকমে একশ করতে পেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। 

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সোহাগ গাজীর বলে এনামুল হক বিজয়ের স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান শেহজাদ। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বল খেলে করেন ৫ রান। যার মধ্যে চারের মার ছিল একটি। শেহজাদের হতাশ করার দিনে হাল ধরতে পারলেন না তামিম ইকবালও। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। মাঝে প্রস্তুতি শানাতে নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন। ছিলেন সিলেটের মাটিতে হওয়া ইন্ডিপেনডেন্ট কাপেও। তবে কোথাও ভালো করতে পারেননি।

তবে চলতি বিপিএলে ঢাকার হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। আর আজ করতে পারলেন মোটে ৩ রান। সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকতের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। যদিও এবারের আসরে ডিআরএস না থাকায় রিভিউ নেওয়ারও সুযোগ মেলেনি। স্কোরবোর্ডে ৯ রান তুলতেই দুই দুটি উইকেট হারায়। ঢাকার আসা-যাওয়ার মিছিল আরও বড় করেন জহিরুল। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়