অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিক

দেশের ব্যাটিং স্বর্গ সাগরিকায় অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে মুশফিক আশিথা ফার্নান্ডোকে চার মেরে ২৭০ বলে এই সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান টাইগারদের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিক । 

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনি থামেন ১৩৩ রানে। তামিমের পর শতকের দেখা পেলেন মুশফিক। তামিমের মতো তিনিও সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ২৬ মাস পর।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরির পর আর কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। এ সময়ে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৯১ রানের পাকিস্তানের বিপক্ষে। 

তবে এসময়ে সেঞ্চুরি না পেলেও এ সময়ে মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি করেছেন চারটি। তবে তা তার নামের প্রতি সুবিচার করে না। অসময়ে রিভার্স সুইপ কিংবা স্লগ সুইপ খেলায় এই সিরিজের আগে তুমুল সমালোচনা হচ্ছিল তাকে নিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টে যেন এই দুই শট না খেলার প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন মুশফিক। রানের জন্য বাউন্ডারির চেয়ে গ্যাপে খেলে সিঙ্গেলস-ডাবলস নিতেই বেশি উৎসাহী ছিলেন মুশফিক। তার প্রমাণস্বরূপ সেঞ্চুরি ইনিংসে মাত্র চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।

২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মুশফিকের। এরপর টানা ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জয়, পরাজয় কিংবা রেকর্ডের সঙ্গী এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ২০১৬ সালে তার অধীনে ইংল্যান্ডকে প্রথবারের মতো টেস্টে হারায় বাংলাদেশ। এছাড়াও এর পরের বছরই মুশফিকের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় টাইগাররা।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪৫৭ রান। লিড পেয়েছে ৬০ রানের। প্রথম ইনিংসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৯৯ রানের উপর ভর করে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।