Cvoice24.com

অদম্য মুশফিক, বাংলাদেশ থামলো ৩৬৫ রানে

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ২৪ মে ২০২২
অদম্য মুশফিক, বাংলাদেশ থামলো ৩৬৫ রানে

ছবি-সংগৃহীত

অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ কাণ্ডারি হিসেবে এবাদতের রানআউটে ৩৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস।

এর আগে মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ দেড়শ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রান সংগ্রহ করে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ উইকেট জুটিতে সবার আগ্রহের বিষয় ছিল মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। কিন্তু ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী এবাদতের ব্যাট হাতে পরিসংখ্যান আশাবাদী হতে দিচ্ছিল না। অবশেষে তাই হয়েছে। মুশি ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।  

৩৪৯ রানে নবম উইকেটের পতনের পর শেষ উইকেট জুটিতে আরও ১৬ রান যোগ করে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। কাশুন রাজিথার ওভারে একটি ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেছেন এবাদত। মুশফিকের কলেই দৌড়েছিলেন তিনি। বোলিং এন্ডে করুনারত্নের থ্রো থেকে বোলার রাজিথা নিজেই ভেঙে দেন উইকেট। ১৭৫ রানে অপরাজিত মুশফিক সঙ্গীর অভাবে পেলেন না ডাবল সেঞ্চুরি। 

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে লিটনের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়ার পর বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। একপ্রান্তে লিটন-মোসাদ্দেকরা সাজ ঘরে ফিরলেও মুশফিক তার ধৈর্য হারাননি। ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। ৩৫৫ বলে ২১ চারের মারে মুশফিক অপরাজিত থেকে গেছেন ১৭৫ রানে। 

মঙ্গলবার (২৪ মে) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লিটন-মোসাদ্দেককে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। লিটন ফেরেন ১৪১ রান করে। এদিকে ৯৮৭ দিন পর সাদা জার্সিতে ফিরেও শূন্য রানে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক। 

এরপর তাইজুলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি করেন মুশফিক। তবে ফার্নান্দোর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাইজুল। এরপর খালেদও ফিরে যান খাতা খোলার আগেই। 

এর আগে সোমবার (২৩ মে) ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই স্কোরবোর্ডে ২৪ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এমন কঠিন মুহূর্তে দলের ঢাল হয়ে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। শক্ত জুটিতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান এ দুই উইকেটকিপার ব্যাটার। একই সঙ্গে দুইজনই নিজেদের ক্যারিয়ারে জমা করেছেন একটি করে সেঞ্চুরি। দিন শেষে তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৮৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে বাংলাদেশ। মুশফিক ২৫২ বল খেলে ১১৫ এবং লিটন দাসও  ২২১ বলে ১৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

লঙ্কানদের হয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন কাসুন রাজিথা। চারটি নেন আসিথা ফার্নান্দো। 


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়