ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ইউরোপ সেরা স্পেন
সিভয়েস২৪ ডেস্ক

রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল উপভোগ করেছে ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্বের ফুটবলপ্রেমিরা। আর তাতে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর আবারও ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় তুলে নিল স্প্যানিশরা। রবিবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু'দল।
ম্যাচের ১২ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে ওঠে স্পেন। ডি বক্সের ভেতর থেকে উইলিয়ামসের নেওয়া শট রুখে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। এরপরও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণ আটকে যায় অ্যাটাকিং থার্ডে। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু'দল।
শুরুর গতিহীন ফুটবলের চিত্র পাল্টে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। শুরুতেই ডেড লক ভাঙ্গেন নেকো উইলিয়ামস। ৪৭ তম মিনিটে তার গোলে লিড নেয় স্প্যানিশরা। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণের ঝড় তোলেন তারা। ওই ঝড়ের মাঝেই ইংলিশদের মাঝে আশা হয়ে এসেছেন কোল পালমার। বদলি নেমেই দুর্দান্ত গোলে দল সমতায় ফেরান এই খেলোয়াড়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে জালে চুমু খায় বল।
তবে খেই না হারিয়ে, চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে স্প্যানিশরা। কেননা এই স্পেন আলাদা। অন্য ধাঁচে গড়া। ৮৬ মিনিটের দিকে আরেকবার লিড নেয় তারা। চমৎকার ফিনিশিংয়ে ইংলিশ চোখে জল এনে এবার স্পেনের হয়ে ব্যবধান (২-১) বাড়ান রিয়াল সোসিয়েদাদের স্ট্রাইকার মিকেল ওইয়ারসাবাল। এরপর আক্রমণ করে গেলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ২-১ গোলের জয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে স্পেন।
এর আগে, সর্বোচ্চ চারবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ছিল স্পেন ও জার্মানির। গতিময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে এবার সেখানে স্থান করে নিল স্পেন। অন্যদিকে সেই ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে আরেকটি শিরোপা জয়ের অপেক্ষা শেষ হয়েও হলো না ইংলিশদের। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর রানার্সআপ হলো দলটি।
খেলাধুলা সব খবর