এক সেশনে শেষ বাংলাদেশ, ভারতের দরকার ৯৫
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান সংগ্রহ করার পর বৃষ্টি নামে। এরপর তিন দিন আর মাঠে নামা হয়নি দুদলের। চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ৫২ রানের লিড রোহিত শর্মা দল। দ্বিতীয় ইনিংসে আজ এক সেশনেই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৬ রানে শেষ সফরকারী বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৯৫ রান প্রয়োজন ভারতের। খেলা বাকী এখনো অন্তত ৬২ ওভার। এখন দেখার বিষয়, ছোট লক্ষ্যটি টপকে যেতে কতক্ষণ সময় লাগে ভারতের।
৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ইনিংসেও ব্যর্থ ওপেনার জাকির হাসান দলীয় ১৮ রানে ১৫ বলে ১০ রান করে আউট হন এই টাইগার ওপেনার।
জাকিরের বিদায়ের পর নাইট ওয়াচম্যাচ হিসেবে ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। তবে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ২৬ রানে ৯ বলে ৪ রান করে আউট হন হাসান। ১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। দলীয় ৩৬ রানে ৮ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাদমান। ভারতীয় বোলারদের সামলে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। তবে দলীয় ৯১ রানে ৩৭ বলে ১৯ রানে আউট হন শান্ত।
তার বিদায়ের পর ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সাদমান। ফিফটির পর পরই আউট হন এই টাইগার ওপেনার। ১০১ বলে ৫০ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মুশফিক।
দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিরাজ ১৭ বলে ৯ ও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন তাইজুল ইসলাম। একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক।
শেষ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক আউট হলে ৪৭ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুশফিক। ভারতের পক্ষে জাসপ্রীত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জদেজা প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি আকাশ দীপ পান।
এদিকে ভারতের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে বৃষ্টিতে আড়াই দিন ভেসে গেলেও তাদের লক্ষ্য এ ম্যাচে জয় নিয়ে আসা। তারা যে সামনের দুইটি সেশনে এ লক্ষ্য তাড়া করবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তা অনুমান করাই যায়।