Cvoice24.com

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের তত্ত্বাবধান অন্য কারো হাতে মানবেন না ক্রীড়া সংগঠকরা

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
১৯:১৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের তত্ত্বাবধান অন্য কারো হাতে মানবেন না ক্রীড়া সংগঠকরা

চট্টগ্রামের বিত্তবান ক্রীড়া ব্যক্তিদের নিজস্ব অর্থায়নে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই এ মাঠ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনেই থাকবে। অন্য কারো তত্ত্বাবধানে থাকা সমীচীন নয়।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটার অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামটি প্রথমে ১০ বছর পরে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) বরাদ্দ দিয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে সকল ক্লাব ও স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা হতবাক হয়েছেন। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন তারা। ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটা সংশোধনী চিঠি পাঠিয়েছে। এতে চট্টগ্রামের সব ধরনের খেলাধুলার জন্য বাফুফের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে; এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’

সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জায়গায় চট্টগ্রামের বিত্তবান ক্রীড়া ব্যক্তিদের নিজস্ব অর্থায়নে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের মাঠ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনেই থাকবে। অন্য কারো তত্ত্বাবধানে থাকা সমীচীন নয় বলে আমরা মনে করি।’

সংহতি প্রকাশ করে সিজেকেএসের সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে প্রায় সিজিকেএসের ৩০টির বেশি ইভেন্ট পরিচালনা হয়ে থাকে। এছাড়া মাঠে কিশোর-তরুণেরা অনুশীলন করে থাকে। চট্টগ্রামের সব খেলাধুলা এই মাঠ ঘিরেই চলে। এই মাঠ শুধু ফুটবলের জন্য বরাদ্দ দিয়ে অন্য খেলাগুলোর ক্ষতি করা হয়েছে। তাই বলতে চাই, চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে এ মাঠটি শুধুমাত্র চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের জন্যই ব্যবহৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি পলোগ্রাউন্ড মাঠ, জংগল সলিমপুর বা কর্ণফুলী ট্যানেলের অপর প্রান্তে স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম নগর জানযট মুক্ত হবে। অপর দিকে কর্ণফুলী নদীর অপর প্রান্ত অধিকতর হারে ব্যবহার উপযোগী হবে।

বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস ক্লাবের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, সিজেকেএসের সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, ক্রীড়া সংগঠক আমিনুল ইসলাম, শাহজাদা আলম, শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান।