Cvoice24.com

সার্বিয়ার বিপক্ষে যে কৌশলে লড়তে চায় ব্রাজিল

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ২৪ নভেম্বর ২০২২
সার্বিয়ার বিপক্ষে যে কৌশলে লড়তে চায় ব্রাজিল

আজ প্রতিটি গোলের পর ভিন্ন ভিন্ন নাচে দেখা যাবে নেইমারদের

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে সৌদি আরব কিংবা জাপানের কাছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ধরাশায়ী হওয়ার ঘটনা বড় দলগুলোর প্রতি একটা বাড়তি সতর্ক বার্তা। ফেভারিট দলগুলোকে এখন বাড়তি হিসাব-নিকাশ কষতে হচ্ছে। আজ সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে হেক্সা মিশন শুরু করবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে এদিন কোন কৌশলে লড়বে নেইমাররা সেটি নিশ্চিতভাবে দলের কেউই জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফেবারিটের মোড়কে চাপানো প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভারমুক্ত হয়ে ভাল খেলা উপহার দিবে তিতে বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত একটায়। 

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে সার্বিয়া। র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ব্রাজিল তাদের সমীহ করছে। দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে রয়ে গেছে। কারণ দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। 

দারুণ প্রতিভাবান এই নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রডরিগো, রাফিনহা, এডার মিলিটাও, বুনো গুইমারায়েস, এন্টনির মত তরুণ তুর্কিরা। ইউরোপ জুড়ে এলিট ক্লাবগুলোতে খেলে ইতোমধ্যেই যারা প্রতিভার পরীক্ষা শেষ করেছেন। মাঝমাঠও গেল বিশ্বকাপ থেকে শক্তিশালী। নিচের দিকে রয়েছেন আলভেজ, সিলভার মতো তারকা ফুটবলাররা।

এদের সাথে দলের সুপারস্টার নেইমারের নামটা এমনিতেই চলে আসে। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে।

তবে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আসা রাফিনিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছেন আক্রমণাত্মক ফুটবলের। তিনি বলেন, 'ডিএনএ’র কারণেই আমরা আক্রমণাত্মক দল। আক্রমণভাগে যত বেশি খেলোয়াড় থাকে, ততই ভালো।'

গোলরক্ষক আলিসন বেকার বলেছেন, ‘জিততে হলে নিখুঁত ফুটবল খেলতে হবে। কারণ, প্রতিটি দলই যোগ্যতাসম্পন্ন এবং অন্যরকম প্যাশন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসে।’ গত টুর্নামেন্টেও ব্রাজিলের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল সার্বিয়া। সেবার পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভার গোলে সহজ নয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।

এদিকে শক্তিশালী সেই ব্রাজিলের বিপক্ষে  নিজেদের প্রথম ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েই মাঠে নামবে সার্বিয়া, ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৮ আসরের পর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কখনো হারের মুখ দেখেনি ব্রাজিল। অন্যদিকে, সার্বিয়া  বিশ্বকাপে শেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে। 

১৯৩০ সালে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর সবকটি বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে একমাত্র দল হিসেবে ব্রাজিল কাতারে খেলতে এসেছে। এবারের কনমেবল বাছাইর্বে ১৭ ম্যাচে ১৪ জয়সহ ৪৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ব্রাজিল যা একটি রেকর্ড। বাছাইপর্বে কোন ম্যাচেই কেউ সেলেসাওদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। ১৯৯৮ সালে নরওয়ের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ ম্যাচে পরাজিত হয়নি ব্রাজিল। এনিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে টানা ১৫ ম্যাচে তারা অপরাজিত রয়েছে। 

যদিও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিরোপা ঘরে নিতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ^ র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে কাতারে খেলতে এসে তিতের উপর প্রত্যাশার পারদটাও তাই তুঙ্গে। টুর্নামেন্টের আগেই ব্রাজিলকে নিয়ে বরাবরের মত যে ধরনের উত্তেজনা তৈরী হয়েছে তা মাঠের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেয়াই এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ আটের পরাজয় থেকে এবার আরো সামনে এগুতে বদ্ধপরিকর নেইমার, রডরিগো, ভিনিসিয়াসরা। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়