Cvoice24.com

ব্রাজিল-সার্বিয়ার অতীত পরিসংখ্যান

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২৪ নভেম্বর ২০২২
ব্রাজিল-সার্বিয়ার অতীত পরিসংখ্যান

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ ইউরোপের দেশ সার্বিয়া। এ ম্যাচের আগে চলুন দেখে নেয়া যাক দুদলের অতীত পরিসংখ্যান।

মুখোমুখি দেখায় মাত্র দু’টি ম্যাচ হয়েছে ব্রাজিল ও সার্বিয়ার মধ্যে। এর মধ্যে একটি ছিল গত বিশ্বকাপে, যেখানে ২-০ গোলে জয় পায় তিতের শিষ্যরা। অন্য ম্যাচটি হয়েছিল ২০১৪ সালে। আন্তজার্তিক সেই প্রীতি ম্যাচেও জিতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা, ১-০ ব্যবধানে।

কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। আগের সব কটি আসরেই খেলেছে সেলেসাওরা। অন্যদিকে সার্বিয়া এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলেছে ১২ বার। ১২ আসরে তাদের সেরা সাফল্য সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ। ১৯৩০ সালে কিংডম অব যুগোস্লাভিয়া হিসেবে সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা।

বর্তমানে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিল আছে সবার শীর্ষে। নামের পাশে ১৮৩৭.৫৬ পয়েন্ট তাদের। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়ার বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং ২১। তাদের পয়েন্ট ১৫৪৯.৫৩।

আজ সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে হেক্সা মিশন শুরু করবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে এদিন কোন কৌশলে লড়বে নেইমাররা সেটি নিশ্চিতভাবে দলের কেউই জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফেবারিটের মোড়কে চাপানো প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভারমুক্ত হয়ে ভাল খেলা উপহার দিবে তিতে বাহিনী।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে সার্বিয়া। র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ব্রাজিল তাদের সমীহ করছে। দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে রয়ে গেছে। কারণ দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। 

দারুণ প্রতিভাবান এই নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রডরিগো, রাফিনহা, এডার মিলিটাও, বুনো গুইমারায়েস, এন্টনির মত তরুণ তুর্কিরা। ইউরোপ জুড়ে এলিট ক্লাবগুলোতে খেলে ইতোমধ্যেই যারা প্রতিভার পরীক্ষা শেষ করেছেন। মাঝমাঠও গেল বিশ্বকাপ থেকে শক্তিশালী। নিচের দিকে রয়েছেন আলভেজ, সিলভার মতো তারকা ফুটবলাররা।

এদের সাথে দলের সুপারস্টার নেইমারের নামটা এমনিতেই চলে আসে। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে।

তবে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আসা রাফিনিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছেন আক্রমণাত্মক ফুটবলের। তিনি বলেন, ‘ডিএনএ’র কারণেই আমরা আক্রমণাত্মক দল। আক্রমণভাগে যত বেশি খেলোয়াড় থাকে, ততই ভালো।’

গোলরক্ষক আলিসন বেকার বলেছেন, ‘জিততে হলে নিখুঁত ফুটবল খেলতে হবে। কারণ, প্রতিটি দলই যোগ্যতাসম্পন্ন এবং অন্যরকম প্যাশন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসে।’ গত টুর্নামেন্টেও ব্রাজিলের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল সার্বিয়া। সেবার পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভার গোলে সহজ নয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।

এদিকে শক্তিশালী সেই ব্রাজিলের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েই মাঠে নামবে সার্বিয়া, ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৮ আসরের পর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কখনো হারের মুখ দেখেনি ব্রাজিল। অন্যদিকে, সার্বিয়া বিশ্বকাপে শেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়