Cvoice24.com

ওয়াসার ঋণের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ৪ আগস্ট ২০২২
ওয়াসার ঋণের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে

চট্টগ্রাম ওয়াসা।

চলতি বছরের শুরুতেই একবার পানির দাম বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তার ছয় মাস যেতে না যেতে আবারও দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবাসিকে প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) ৫ টাকা এবং বাণিজ্যিক খাতে ৫ দশমিক ১৮ পয়সা বিল পরিশোধ করতে হবে।

ওয়াসার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী বছর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ নেয়া ঋণ শোধ করতে হবে। তাই আবারও পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করতে ক্রমান্বয়ে পানির দাম আরও বাড়ানো পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ইউনিট পানি পরিশোধন করতে গিয়ে সংস্থাটির খরচ পড়ে ২৭ টাকা। দ্বিতীয় দফায় পানি দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রতি ইউনিটে আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকার স্থলে ১৮ টাকা করে বিল পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩১ টাকা ৮২ পয়সার স্থলে ৩৭ টাকা করে দিতে হবে। বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক সংযোগ রয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ রয়েছে ৭ হাজার ৭৬৭টি। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ আবাসিক এবং ৭ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহক। দাম বৃদ্ধির ফলে ঋণের সিংহভাগ টাকা বইতে হবে সাধারণ গ্রাহককে। নগরে দৈনিক ৫শ’কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে।

প্রকল্প ঋণ পরিশোধ এবং উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে ভবিষ্যতে পানির দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ।

তিনি সিভয়েসকে বলেন, প্রতি ইউনিটে পানি উৎপাদনে আমাদের খরচ পড়ছে ২৭ টাকা, আমরা নিচ্ছি ১৩ টাকা। বাকি ১৪ টাকা কে দেবে? আগামী বছর থেকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি  ও সাউথ কোরিয়ান ব্যাংকের ঋণ দিতে হবে। এখন পানির বিল ২৭ টাকা নিতে না পারলে এসব ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবো! এক লাফে পানির বিল ২৭ টাকা করা যাবে না। এখন ১৮ টাকা করেছি। ভবিষ্যতে ২০ থেকে ২২ টাকা টাকা করা হবে। এরপর ২৭ টাকায় নিয়ে যাব। প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য পানির দাম বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, তেল, গ্যাস বিদ্যুৎসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। সরকার সব কিছুতে ভর্তুকি দিবে না। আমরা গ্রাহকদের মানসম্মত সুপেয় পানি দিব কিন্তু পানির দাম দিবে না এটাতো হয় না। এখানে সবাইকে সহায়তা করতে হবে।

এক প্রশ্নে ওয়াসার শীর্ষ এই কর্তা বলেন, ২০২৩ সাল থেকে ওয়াসাকে ঋণের সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। এখানে নগরবাসী ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই। গ্রাহকদের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মিটারসহ বেশ কিছু কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

সিভয়েস/আরসি/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়