Cvoice24.com

নোয়াখালীতে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদ চবিতে

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
নোয়াখালীতে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদ চবিতে

তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যার প্রতিবাদে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত নোয়াখালীর শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রায়হানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সেশনের আনসারুল হক মাহমুদ। ২০১৭-১৮ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজহার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. সুজন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পাপ্পু আনজার হোসেন, কাজী মেহেদী হাসান, আইন বিভাগের ইসলামুল সজীব, ইতিহাস বিভাগের ইমরান বিন হামিদ, সোহেল উদ্দিন এবং ফাহমিদা আক্তার। ২০১৮-১৯ সেশনের মো. তামজিদুল ইসলাম, এমরান আশিক ও মোছাম্মদ মাজেদা। ২০১৯-২০ সেশনের কামরুল ইসলাম এবং ওমর হাসনাত তন্ময়সহ মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাকিব হোসেন বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সদরে ঘটে যাওয়া এ নৃশংস ঘটনার সাক্ষী আমরা সবাই। ইতোমধ্যে প্রশাসন একজনকে শনাক্ত করেছে। সে আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা চাই তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনও চক্র জড়িত আছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।

পরিসংখ্যান বিভাগের সেশনের আনসারুল হক মাহমুদ বলেন, এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ অষ্টম শ্রেণিতে পড়া একজন শিক্ষার্থী যখন তার শিক্ষকের হাতেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হন, তখন আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা আমরা কার কাছে আশা করবো? আমরা তার ফাঁসি চাই।

ফাহমিদা আক্তার বলেন, ২১ শতকে এসে নারীরা এখনো এমন অনিরাপদ, এটা কল্পনা করা যায় না। আমরা নারীদের অধিকারের কথা বলছি, অথচ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজহার বলেন, আমরা দেখেছি প্রশাসন ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালতে আসামি পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আশাকরি বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা থেকে বেরিয়ে এসে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখবো আমরা। পাশাপাশি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এ ঘটনায় আসামির পক্ষ হয়ে না লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়