Cvoice24.com

মুরগি বিক্রি হচ্ছে ইচ্ছেমত দামে, নেই নজরদারি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২১ মার্চ ২০২৩
মুরগি বিক্রি হচ্ছে ইচ্ছেমত দামে, নেই নজরদারি

সংগৃহীত ছবি।

কোথাও আড়াইশো, কোথাও ২৬০ কোথাওবা ২৬৫ টাকা— মুরগির এমন হরেক দাম বাজারজুড়ে। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দাঁড় করিয়েছেন নানান অজুহাত। কারও যুক্তি, দৈনিক ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হয় মুরগির। আর কারও সরবরাহ কম, বাড়তি খাবার দামের।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের চৌমুহনী, টাইগারপাস, কাজীর দেউরি, খুলশীসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব জায়গায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোন দোকানে মূল্য তালিকা নেই। মুরগি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। চৌমুহনী বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে আড়াইশো টাকায়, সোনালি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। অন্যদিকে টাইগারপাস ও খুলশীতে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৬৫ টাকায়।

এদিকে দুদিন বাদেই রোজা। আর রমজান মাসকে কেন্দ্র করেই দিন দিন আরও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির বাজার। একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগিতে কেজিতে ২৫ টাকা, সোনালি মুরগিতে ৬০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। এ দাম রোজার শুরুতে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ার কারণে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি বর্তমানে বাজারে মুরগির সরবরাহও কম। তাই মুরগির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। 

চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকায়। দুসপ্তাহ আগে ১০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়। রোজার মাস ঘনিয়ে আসতেই সে দাম ঠেকেছে ২৬৫ টাকায়। অন্যদিকে গত দুসপ্তাহ ধরে সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম ঠেকেছে ৪০০ টাকায়।

নগরের টাইগারপাস এলাকার মুরগি বিক্রেতা মো. মানিক সিভয়েসকে বলেন, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করা হয় বিদ্যুতের সাহায্যে। এ পর্যন্ত চারবার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। এসব কারণে খামারিরা আমাদের কাছে বাড়তি দরে মুরগি বিক্রি করছেন। তাই আমরাও বাড়তি দরে বিক্রি করছি।

নগরের খুলশী এলাকার মুরগি বিক্রেতা মো. হানিফ বলেন, বাজারে এমনিতেই মুরগির সরবরাহ কম। তার ওপর গত দুদিনের বৃষ্টিতে সরবরাহ আরও কমে গেছে। তাই মুরগির দাম বাড়তাছে। এ দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।

নগরের আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস সিভয়েসকে বলেন, কোন দোকানে মূল্য তালিকা নেই। যাকে যেমন দরে বিক্রি করা যাচ্ছে। আমি বিভিন্ন দোকান ঘুরে ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি, দর করিনি। দর করলে ওজনে কম দেয়।

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন সিভয়েসকে বলেন,  একই দিনে একেক জায়গায় একেক দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে মানেই এর ভেতরে কারসাজি অবশ্যই রয়েছে। প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ভোক্তারাও প্রতারণার শিকার হলে ভোক্তা অধিকারের কাছে অভিযোগ দিবেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়