Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড

রডের দাম বেড়েছে দেড়গুণ, কাঁচামাল সংকটে ‘বেকায়দায়’ কারখানা মালিকরা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
রডের দাম বেড়েছে দেড়গুণ, কাঁচামাল সংকটে ‘বেকায়দায়’ কারখানা মালিকরা

ছবি: সংগৃহীত

আর্থিক চাপ সামলাতে একের পর এক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দাম বাড়াচ্ছে সরকার। মাত্র ৭ মাসের মাথায় পর শিল্পখাতে গ্যাসের দাম একলাফে বাড়িয়েছে তিনগুণ। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে স্টিল রি-রোলিং মিলগুলো শোনাচ্ছে বিপাকের গান। উৎপাদন খরচ বাড়ায় রডের দাম বেড়েছে দেড়গুণ। অবশ্য গত তিন বছর ধরেই রডের বাজার বেসামাল। অন্যদিকে কাঁচামাল সংকট কাটতে না পারলে ভবিষ্যতে রডের বাজার আরো অস্থিতিশীল হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

২০২০ সালে প্রতিটন রড বিক্রি হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানভেদে সে দাম বেড়ে ঠেকেছে টন প্রতি ৯২ হাজার থেকে সাড়ে ৯৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নগরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে গেছে, একমাসের ব্যবধানে প্রতিটন বিএসআরএম রডে ২ হাজার টাকা বেড়ে ৯২ হাজার টাকা এবং টনপ্রতি দেড় হাজার টাকা বেড়ে কেএসআরএমের রড সাড়ে ৯৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটন একেএস রড ৯২ হাজার, বন্দর স্টিল ৮৮ হাজার ও আরআরএম কোম্পানির রড ৮৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসায় রড উৎপাদনে টনপ্রতি খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে সরকারের চলমান বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের উপর। পাশাপাশি দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের কাছেও রডের চাহিদা কমে যাবে। তাই দ্রুত কাঁচামাল আমদানির ব্যবস্থা করতে না পারলে এ শিল্পে সংকট আরো প্রকট হবে।

নগরের একেখান এলাকার মেসার্স এনএম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রফিক সিভয়সকে বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দফায় দফায় রডের দাম বেড়েছিল। বর্তমানে এলসির অজুহাতে কারখানাগুলো আবারও রডের দাম বাড়িয়েছে। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছে।

বিএসআরএম’র নির্বাহী পরিচালক তপন সেনগুপ্ত সিভয়েসকে বলেন, বিদ্যুতের যে দামটা বেড়েছে ও গ্যাসের যে দামটা বাড়বে দুটো মিলিয়ে আমরা হিসেব করে দেখেছি। আমাদের উৎপাদন খরচ ও পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। আমাদের প্রতিটন রড উৎপাদনে ১২শ টাকার মত খরচ বাড়বে। তবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমাদের মাথাব্যথা কাঁচামাল আমদানি নিয়ে। কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় স্ক্র্যাপের দাম বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রডের দাম আরো বাড়বে। এমনিতেই আমাদের বেচাবিক্রি কমে গেছে। তাই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া, আমদানি ঋণপত্র খোলার জটিলতার দ্রুত সমাধান। অন্যথায় এ শিল্প আরো বেশি সংকটে পড়বে। 

আবাসন খাতে প্রতি বর্গফুটে ব্যয় বেড়েছে ১২০ টাকা—

রডসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে পারছেন না আবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা। বাড়তি দরে রড কিনে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় আবাসন খাতে ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটে ব্যয় বেড়েছে ১২০ টাকা। 

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আবদুল কৈয়্যুম চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, ক্রেতাদের জন্য আমাদের আবাসন খাতে কোন সুখবর নেই। বরং আমরা বিপদে আছি। আমরা ফ্ল্যাটের কাজ শুরু করার আগে ক্রেতার কাছ থেকে এডভান্স টাকা নিই। তাদের কাছ থেকে যে হারে টাকা নিয়েছি তার চেয়ে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি। একটা ফ্ল্যাটের কাজ শেষ করে তা ডেলিভারি দিতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে লোকসানে পড়ে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়