Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড

রাঙামাটিতে এবার সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৭ মে ২০২৩
রাঙামাটিতে এবার সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা

দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে রাঙামাটির সুস্বাদু লিচু

লিচুর শহর এখন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। এখানকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় লিচু। কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় বাজারে বেড়েছে কদরও। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় রাঙামাটির লিচুর চাহিদাও ভালো। যে কারণে রাঙামাটির বাজারে এখন বেড়েছে লিচুর বিকিকিনি। প্রতিদিনই ঘাট ও বাজারে আসছে বোটে বোটে লিচু। রাত ফুটলেই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন বাগান থেকে বোটে বোটে লিচু ভিড়ছে শহরের ঘাটে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে মুখর হয়ে ওঠছে পুরো ঘাট। লিচুর আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হচ্ছে দাম। শেষে হাত বদল হয়ে এই লিচু ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। তবে লিচু বাগানিরা দাম কম পাচ্ছে জানালেও চলতি বছর সাড়ে তিনশত কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা করছেন জেলার কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটির বাজারে এখন বেড়েছে লিচুর বিকিকিনি। কীটনাশক মুক্ত ও পরিপক্ক হওয়ায় বিক্রির জন্য পাতাসহ ছেঁড়া হচ্ছে লিচু। ভোর হতেই সেসব লিচু নিয়ে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাগানিদের যন্ত্রচালিত বোট ভিড় করছে রাঙামাটি শহরের সমতা ঘাটে। 
লিচুর আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করেই হাঁকা হচ্ছে দাম। দর কষাকষি শেষে নামানো হচ্ছে ঘাটে। পাইকারদের হাত হয়ে এই লিচু ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। চাষিরা জানান, এই হাটে একশ লিচু বিক্রয় হচ্ছে দেড়শো থেকে চারশ টাকায়। 

লিচু চাষী সুশান্ত তঙ্গগ্যা জানান,  এই বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। আমার বাগানে প্রায় একশতটির মত লিচু গাছ আছে সেগুলো বাগানে বিক্রয় করে দিয়েছি ষাট হাজার টাকা দিয়ে। কাপ্তাই হ্রদে পানি কম থাকায় বাজারে আনতে পারি নাই। বাজারে আনলে অনেক টাকা বেশি পেতাম।

আরেক চাষী শ্রাবণ চাকমা জানান, আমার বাগানে তিনশতটির মত চায়না ৩ জাতে লিচু গাছ আছে। বাজারে প্রতিশত লিচু তিনশত টাকা করে বিক্রয় করছি।

গাছপাকা লিচুর সঙ্গে রাঙামাটির বড়আদাম এলাকার লিচু চাষী সুবীণা চাকমা

লিচু পাইকার মো. মনির জানান, রাঙামাটির লিচু রসালো ও কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় চাহিদা বেশি। যার কারণে আমরা চট্টগ্রাম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় লিচু সরবরাহ করে থাকি। লিচুর দামও বেশ ভালো পাই।
 
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এবার মৌসুমের প্রথম দিকে খরা গেলেও কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এই এলাকার লিচু রসালো ও বিচি ছোট হওয়ায় যার চাহিদা প্রচুর। এবার জেলায় এক হাজার আট শত হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। যার ফলে লিচু ব্যবসায় সাড়ে তিনশত কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাঙামাটিতে এক হাজার আট শত হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪শত হেক্টর জমিতে চায়না-৩, ৪৫০ হেক্টর জমিতে চায়না ২ ও বাকি ৯৫০ হেক্টর জমিতে দেশি লিচুর চাষ হয়েছে। যার বাজার মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়