Cvoice24.com

রাঙামাটিতে মানবাধিকার কমিশনের গণশুনানী

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
রাঙামাটিতে মানবাধিকার কমিশনের গণশুনানী

রাঙামাটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়

গণশুনানীতে নানান জনের নানা মতের কথা শুনেছি। ভীষণভাবে অসন্তুষ্টি, চাঁদাবজি, অপহরণ-খুন এগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তবে এখনি হতাশ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাঙামাটির ক্ষুদ্র  নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে শেষে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের আরও জানান, এই এলাকায় উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে, সেটা আমরা উপলব্ধি করছি। আপনাদের কষ্টের কথাগুলো যথাযথ মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে পদক্ষেপ নিতে কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম সচিব নারায়ন চন্দ সরকার, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, কমিশনের সদস্য কাওসার আহমেদ, মো. আমিনুল ইসলাম, কং জেরী চৌধুরী, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ ও তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি হেডম্যান-কার্বারিরা।

গণশুনানীতে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপ্রিয় পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মানবাধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ অবৈধ অস্ত্রের কারণে নিজ বাড়িতে থাকতে পারে না। নিজ বাড়িতে নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। চুক্তির পর পাহাড়ে শান্তি না ফেরায় পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ে অশান্তিতে বসবাস করছে।

পাহাড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সকল সম্প্রদায়কে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার মূল কারণ পাহাড়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পাহাড়ে কোনদিন শান্তি ফিরবে না।

চুক্তির পরে পাহাড়ে ২৫টি বেশি গণহত্যা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিতিতে জুম্মজনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাহাড়ে পর্যটনের নামে ভূমি হারা হচ্ছে স্থানীয়রা। এসব বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

গণশুনানী চলাকালীন সমাবেশের বাহিরে স্বজনহারা ও বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে প্রতিকার চান।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়