Cvoice24.com

সাংবাদিক দেখে ‘তেলেবেগুনে’ জ্বলে উঠলেন হাটহাজারীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

হাটহাজারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৪ জুন ২০২৩
সাংবাদিক দেখে ‘তেলেবেগুনে’ জ্বলে উঠলেন হাটহাজারীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য সনদ দেওয়ার অভিযোগ হাটহাজারীতে সদ্য যোগ দেওয়া স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। শনিবার তার এ ধরনের নানা অনিয়ম নিয়ে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে ‘তেলেবেগুনে’ জ্বলে উঠেন স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা রশ্মি চাকমা। ‘বাঙালকে হাইকোর্ট’ দেখানোর ভঙ্গিমায় বললেন— ‘সরকারি হাসপাতালে প্রবেশ করলে গলায় কার্ড ঝুলাতে হবে। সিভিল সার্জনের নির্দেশ।’

তাঁর এমন বক্তব্যের পর সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন কর্মরত গণমাধ্যমের আইডি কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড দেখালেও তা মানতে নারাজ তিনি। তবে হুমকি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ করার।

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদায়ী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ‘অনেক দুর্নীতি করেছে’ কেন তার বিরুদ্ধে নিউজ করা হয়নি, কোন সাংবাদিক কেন নিউজ করেনি। তার পরিবর্তে যোগদান করা ব্যক্তির পেছনে কেন?— একের পর এক এমন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।

সাবেক স্যানিটারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেনামি অনেক অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানালে বেনামি অভিযোগদাতার সন্ধান তিনি কিভাবে পেলেন— প্রশ্ন করতেই তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।  

তিনি বলেন, আপনাকে কেন উত্তর দিব আপনি যে সাংবাদিক তার প্রমাণ কি। আপনার গলায় কার্ড ঝুলতে দেখছিনা। সিএস স্যার মিটিংয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিক পরিচয় দিলে গলায় কার্ড ঝুলতে হবে। এসময় কর্মরত গণমাধ্যমের আইডি ও ভিজিটিং কার্ড দিলেও তা মানতে নারাজ।

এক পর্যায়ে বলেন, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দোকানে দোকানে ঘুরতে পারবেন। বিশেষ কিছু বিষয় ছাড়া সনদ দিতে পারবেন। এসময় টিএলসি শরীফ উদ্দিন বলেন, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দোকানদারদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দিতে পারবেন। স্বাস্থ্য সনদ এনে দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননি।

অভিযোগ উঠেছে, সদ্য যোগ দেওয়া স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুক হাটহাজারীতে যোগ দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় স্বাস্থ্য সনদ এনে দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এছাড়া অভিযানের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

শুধু হাটহাজারীতে নয় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভাণ্ডার আগের কর্মস্থল সন্দ্বীপেও। 

বৃহস্পতিবার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুক তার কার্যালয়ে বলেন, দোকানদারদের সুবিধার্থে তাদের সাথে চুক্তি করা হয়। নির্ধারিত ফি ছাড়া বাড়তি টাকা যাতায়াত খরচ। তবে এটা নিয়ম বহির্ভূত বলেও স্বীকার করেন। এছাড়া যোগদানের পর পর সিটি করপোরেশন এলাকায় বড়দিঘির পাড় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সড়কের পশ্চিমে খাবার হোটেলে গিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন। তবে কোন টাকা চাওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়