কক্সবাজারে স্কুলছাত্র অপহরণ, অভিযোগের তীর রোহিঙ্গাদের দিকে
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বাহারছড়ায় পাহাড়ে মা–বাবা, ভাই-বোনের সঙ্গে পানের বরজে কাজ করার সময় আবদুল আমিন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার সকাল আটটার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল আমিন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের মোক্তার আহমদের ছেলে। সে মারিশবনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মুখোশধারী কিছু লোক অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আবদুল আমিনকে নিয়ে গহিন পাহাড়ে দিকে চলে যায়।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, আজ সকালে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আবদুল আমিন পানের বরজে কাজ করতে যায়। আশপাশে আরও কয়েকটি পানের বরজ রয়েছে। হঠাৎ মুখোশধারী কিছু লোক অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আবদুল আমিনকে নিয়ে গহিন পাহাড়ে দিকে চলে যায়। এখন পর্যন্ত অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গারা টাকার জন্য স্থানীয় লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। আবদুল আমিনকেও তারা অপহরণ করেছে। আগেও ওই পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় লোকজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, গত ১১ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৪৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা আর বাকি ৫০ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ আরও বলেন, পুলিশের তৎপরতার কারণে দীর্ঘদিন এসব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখানে মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
বাহারছড়া পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তিনি অপহরণের বিষয়টি শুনেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। এরপরও বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ কাজ করছে।’