Cvoice24.com

ভরা মজলিশে আ.লীগ নেতাকে মারতে তেড়ে গেলেন মেয়র!

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভরা মজলিশে আ.লীগ নেতাকে মারতে তেড়ে গেলেন মেয়র!

কক্সবাজারের মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভরা সভায় সাধারণ সম্পাদককে চেয়ার নিয়ে মারতে তেড়ে গেলেন এক যুবলীগ নেতা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার বাবুর দিঘীর পাড়ের উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, `আওয়ামী লীগের লোকজন আশেককে ভোট দেননি`— এমন বক্তব্য দেন পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া। তার প্রতিবাদ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, আমার ইউনিয়নে নৌকা প্রথম হয়েছে। তবে বড় মহেশখালি ইউনিয়নে নৌকা দ্বিতীয় হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ নৌকায় ভোট দেননি কথাটা সত্য নয়। একথা বলার সাথে মকছুদ মিয়া ও তার লোকজন  উত্তেজিত হয়ে তারেককে গালমন্দ করতে শুরু করেন। একই সাথে চেয়ার নিয়ে তারেককে মারতে ছুটে যান । এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা মকছুদ ও  শামসুদ্দিনকে শান্ত করলে পরে তারেক সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালি- কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকও। অভিযুক্ত শামসুদ্দিন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমাণ শরীফ বলেন, `সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় গত সংসদ নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্যকে জয় করতে সর্বোচ্চ ভোট দেন কালারমারছড়ার লোকজন। কালারমারছড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রথম হয় এবং দ্বিতীয় হয় বড়মহেশখালী ইউনিয়নে, এই কথা বলার সাথে সাথে মেয়র মকছুদ মিয়ার কাজের লোক সামসুদ্দীন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে মেয়রও তেড়ে আসে। এতে করে সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আমি বেরিয়ে আসি।"

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র মকছুদ মিয়া বলেন, সভায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। তারেক আর সামসুদ্দীন তার কেউ নন। তিনি পৌর যুবলীগ নেতা। তবে কোন পদে আছে তা আমার জানা নেই।

মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহুল করিম বাবু বলেন, শামসুদ্দিন নামে পৌর যুবলীগে কোন নেতাকর্মী নাই।  

এ বিষয়ে কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন।  নির্বাচন পরবর্তী আলোচনা সভায় নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: