যে কারণে বিধ্বস্ত হলো ইরানের হেলিকপ্টার

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সফরসঙ্গীরা। কি কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত না হলেও দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে কথা বলেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

সোমবার (২০ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া য়ায়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোন অস্তিত্ব নেই। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে জানা যায়, রাইসিকে বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল, যে মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।

কর্মকর্তাদের দাবি, বৈরি আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ। প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাইসিকে বহনকারী  বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বেল-২১২ মডেলের হলেও ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির কাছে এ ধরনের কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসাবে এটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরোনো।

পল বিভার নামে একজন উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ আল-জাজিরাকে বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ‘অবশ্যই’ মেঘের আচ্ছাদন, কুয়াশা, জলীয় বাষ্প এবং নিম্ন তাপমাত্রা ভূমিকা রেখেছে। হেলিকপ্টারগুলো ফিক্সড-উইং প্লেনের মতো বিরূপ আবহাওয়ায় সহজে উড়তে পারে না। হেলিকপ্টারে সেই সুবিধা নেই।