Cvoice24.com

র‍্যানকন অটোসের ‘ভুয়া নথি’ বানিয়ে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা লোপাট

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ১৭ মার্চ ২০২৩
র‍্যানকন অটোসের ‘ভুয়া নথি’ বানিয়ে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা লোপাট

র‍্যানকন অটোস লিমিটেডের ভুয়া নথি বানিয়ে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা জোবায়ের সেলিম শুভ’র বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত জোবায়ের সেলিম শুভ নগরীর অক্সিজেন মোড়ে থাকা র‍্যানকন অটোস লিমিটেডের থ্রি-এস সেন্টারে রিকভারি অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি নগরীর আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকার কুতুব বাড়ির মো. সেলিম ও লুৎফুরনেচ্ছা বেগমের ছেলে।

জানা যায়, থ্রি-এস সেন্টারটিতে গাড়ি বিক্রয়, গ্রাহকদের কাছ থেকে বুকিং মানি, ডাউন-পেমেন্ট ও কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতেন জোবায়ের সেলিম শুভ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গাড়ির মূল্য ও কিস্তির টাকা নিয়ে গ্রাহকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অসংখ্য ভুয়া মানি রশিদ, ভুয়া গ্রাহক ফরম, কোম্পানির ভুয়া অনাপত্তিপত্রসহ বিভিন্ন ভুয়া নথি তৈরি করে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাৎ শুরু করেন তিনি।


গ্রাহকের টাকা নিয়ে জোবায়ের সেলিম শুভর এমন নয়ছয় করার বিষয়টি কোম্পানির ঊর্ধ্বতনদের নজরে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করে র‍্যানকন অটোস লিমিটেড। তদন্ত কমিটি বিভিন্ন গ্রাহক হতে প্রাপ্ত মানি রশিদ, গ্রাহক ফর্ম, ব্যাংক জমা রশিদ, কোম্পানির অনাপত্তিপত্র পর্যালোচনা করে প্রমাণ পায়, জোবায়ের ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত থ্রি-এস সেন্টার ও হেড অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন গ্রাহক হতে আনুমানিক ৫৫ লাখ এক হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এরপর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাকা লোপাটের বিষয়ে জোবায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাকে ২০২২ সালের ২৫ মে থেকে বারবার কোম্পানির হেড অফিসে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি যোগাযোগ করেননি। পরে ভুয়া নথি বানানো ও জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার বিষয়টি টের পেয়ে কোম্পানির বিনা অনুমতিতে অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেন জোবায়ের সেলিম শুভ।

এদিকে বিভিন্ন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৯ মার্চ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় জোবায়ের সেলিম শুভর বিরুদ্ধে মামলা করেন র‍্যানকন অটোস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. হানিফ মোল্লা। মামলায় দণ্ডবিধি ৪০৮, ৪০৭, ৬৮৬ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জোবায়ের সেলিম শুভ’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। একজন অফিসার মামলাটি তদন্ত করছেন। তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়