Cvoice24.com

পচা চায়ের পর আছিব ব্রাদার্সে মিলল অবৈধ চা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পচা চায়ের পর আছিব ব্রাদার্সে মিলল অবৈধ চা

চা ব্যবসায় সীতাকুণ্ডের প্রতিষ্ঠান আছিব ব্রাদার্সে ধরা পড়ছে একের পর এক জালিয়াতি। সপ্তাহখানেক আগে প্রতিষ্ঠানটির গুদামে মেয়াদোত্তীর্ণ পচা দুর্গন্ধযুক্ত চায়ের সন্ধান পায় চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবার প্রতিষ্ঠানটির অননুমোদিত গুদামে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ নিলামে বিক্রিত বা চোরাই পথে কেনা চা। এসময় এনএনটি ওয়্যারহাউজ নামের একটি গুদামেও দেখা মেলে একই চিত্র। 

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের ফৌজদারহাট এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। 

জানা গেছে, চা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে ফৌজদারহাটে অবৈধভাবে দুটি গুদামে চা মজুদ করছিল আছিব ব্রাদার্সের মালিক আছিবুর রহমানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সৈয়দ টি ওয়্যারহাউজ। যদিও প্রতিষ্ঠানটি কেবল একটি গোডাউনের অনুমতি নিয়েছিল। অপরদিকে একই এলাকার এন এন টি ওয়্যারহাউজ একটি গোডাউনের অনুমতি নিয়ে দুটি গোডাউনে চা মজুদ করছিলো। তাই অবৈধভাবে চা মজুদের দায়ে তিনটি গোডাউন বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। তবে মাত্রাতিরিক্ত গরম ও বিপুল পরিমাণে অবৈধ চা মজুদ থাকায় চায়ের সঠিক পরিমাণ জানাতে পারেনি চা বোর্ড। 

এর আগে চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এবং ১২ সেপ্টেম্বর পৃথক অভিযানে আছিবুর রহমানের মালিকানাধীন সীতাকুণ্ড উপজেলার বানুর পাড়া এলাকায় অবস্থিত আছিব ব্রাদার্সের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা চা জব্দ ও ধ্বংস করে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানতে চাইলে উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন সিভয়সকে বলেন, ওয়্যারহাউজ বা গোডাউনে চা মজুদ করতে হলে চা বোর্ডের অনুমোদন বা লাইসেন্স লাগে। এই তিন গোডাউনের কোন অনুমোদন ছিল না। তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করছি এখানে অকশনে কেনা চায়ের পাশাপাশি চোরাই পথে কেনা চা থাকতে পারে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়