Cvoice24.com

ই-অরেঞ্জের প্রতারণা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রাম আদালত। সিভয়েস

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মামলায় সাবেক এক পুলিশ পরিদর্শকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালত এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা, তার বোন ও ই-অরেঞ্জ মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে  প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামে মামলা করেন নুরুল আবসার পারভেজ নামে এক ব্যবসায়ী। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট সময়ের পরও তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশের প্রায় ১ লাখ গ্রাহকের ১১শ' কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে ওই ব্যবসায়ীসহ তিনজনের ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকাও রয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা হতে থাকলে, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে ভারত চলে যান। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের আদালতে তার তিন বছরের জেল হয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সোহেলকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, দীর্ঘ তদন্তের পরে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে মামলার চার্জশিট জমা করেছে। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

উল্লেখ্য, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে।

সিভয়েস/আরআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়