পান সিগারেট খেয়ে জাল টাকা গছিয়ে দেয় ওরা
সিভয়েস প্রতিবেদক
জাল টাকার নোট গছিয়ে ধরা পড়া দুই ব্যক্তি।
অলিগলির দোকান বেছে বেছে খান পান সিগারেট। এরপর দোকানদারকে গছিয়ে দেন হাজার টাকার জাল নোট। বাকি টাকা নিয়ে ফেরত দ্রুত চম্পট দেন সেখান থেকে। তবে, একই দোকানদারকে দ্বিতীয়বারের মতো ‘বোকা’ বানাতে গিয়ে ধরা।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের নিমতলা খালপাড় ব্রিজ এলাকা থেকে এমন দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের পকেট থেকে ৯ হাজার ও বাসায় অবিযান চালিয়ে আরও ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন, মো. শাকিব (২০) এবং অন্তর বিশ্বাস (২২)। নগরের পাহাড়তলীর বউবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। শাকিব নোয়াখালীর কবিরহাট উত্তর জগন্নাথ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে এবং অন্তর বিশ্বাস ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার পান সিগারেটের দোকানদার মো. আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে শাকিব এবং অন্তর পান-সিগারেট কেনে। এরপর তাকে এক হাজার টাকার একটি নোট দিয়ে বাকি টাকা ফেরত নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে দোকানদার বুঝতে পারে টাকাটি জাল। পরে তিনি দুইজনকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। পরদিন আবারও শাকিব এবং অন্তর ওই দোকানে গিয়ে পান-সিগারেট খেয়ে হাজার টাকার জালনোট দেয়। তখন দোকানদার আশেপাশের লোকজনকে ডেকে নোটটি দেখালে সেটি জাল হিসেবে শনাক্ত করে সবাই। এরপর পুলিশকে ফোন দিয়ে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা সিভয়েসকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর ফোন পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শাকিব ও অন্তর নামে ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তারা জাল টাকা সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তল্লাশি নিয়ে তাদের পকেটে আরও কিছু জাল নোট পাওয়া যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাকিবের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।’
ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, সিন্ডিকেটের সাথে আরও একজন জড়িত, যিনি নোটগুলো সাপ্লাই দিতো এবং গ্রেপ্তার শাকিব তার বাসায় সংরক্ষণ করতো। সিন্ডিকেটের পলাতক সেই সদস্যকেও আমরা ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানায় একটি মাদক আইনে মামলা পাওয়া গেছে।