‘মুক্তির রাত’ পবিত্র শবে বরাত
মিনহাজ মুহী, সিভয়েস২৪
![‘মুক্তির রাত’ পবিত্র শবে বরাত ‘মুক্তির রাত’ পবিত্র শবে বরাত](https://www.cvoice24.com/media/imgAll/2022September/Untitled-1-2402251137.jpg)
রমজান মাসে সিয়াম সাধনার জন্য প্রস্তুতির অন্যতম মাধ্যম পবিত্র ‘শবে বরাত’। হাদিসের ভাষায়, ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’কে উপমহাদেশে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। ‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় ‘মুক্তির রজনী’। এই রাতের ফজিলত হাদিস শরিফের মাধ্যমে প্রমাণিত।
হাদিসে এসেছে, এই রজনীতে আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে মাফ করেন, সাধারণ ক্ষমা করেন। যাদের মধ্যে হিংসা আছে, বিদ্বেষ আছে, শিরকে যারা লিপ্ত এই মানুষগুলো ছাড়া অন্য সবাইকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করেন।
শবে বরাতের রাতের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস: ৬২০৪
ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, এ রাত আল্লাহ তাআলার কাছে ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার রাত। রাসূল (সা.) এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করতেন, রোজা রাখতেন। কবর জেয়ারত করতেন।
এদিন রোজা রাখা, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া, কোরআন তেলোয়াত ও তওবা-ইস্তেগফার করা, দরুদ শরীফ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী গবেষকরা।
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, ‘পবিত্র শবে বরাতকে ভাগ্যের রজনীও বলা হয়। মুসলিম উম্মাহর জন্য সুন্দর রাত্রি, ইবাদতের রাত্রি। এ রাতে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে।'
শবে বরাতের ইবাদত-বন্দেগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ রাতে কবর জেয়ারত করতেন। শবে বরাতে নফল নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন শরীফ বেশি বেশি তিলাওয়াত করা, তওবা-ইস্তেগফার করা, দরুদ শরীফ পড়া উচিত।'
রোজার রাখার বিষয়ে আল্লামা জুবাইর বলেন, 'প্রতিমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনটা নফল রোজা আছে। বিশেষ করে শবে বরাতে আল্লাহর রাসূল বেশি রোজা রাখতেন। শাবান মাসে মহানবী বেশি রোজা রাখতেন। তাই এটা সুন্নাতে রাসূল।’