Cvoice24.com

পবিত্র শবে বরাত
বর্ণিল আলোকসজ্জা মসজিদ-মাজারে, বাইরে টুপি-আতরের পসরা

রবিউল রবি, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ২০:১১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বর্ণিল আলোকসজ্জা মসজিদ-মাজারে, বাইরে টুপি-আতরের পসরা

আজ সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত (শবে বরাত)। দিনটি মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়। তাইতো সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মাজারে ভিড় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কেউ এসেছেন সমবয়সীদের সাথে, কেউ বা নিজের বাবার সাথে। মসজিদে চলছে মিলাদ মাহফিল, দরুদ, জিকির ও কিয়াম। নামাজ শেষে অনেকেই যাচ্ছিলেন মুরুব্বি, প্রিয়জন ও অলি-আউলিয়াদের কবর জেয়ারতে।

শবে বরাতের নামাজ শেষে অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করে আল্লাহর কাছে হাত পাতবেন মুসল্লিরা।

রবিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নগরের দামপাড়া ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে নামাজ পড়তে দলে দলে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে থাকেন। এশার জামাতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।

শুধু জমিয়তুল ফালাহ্ নয়, এমন চিত্র দেখা গেছে নগরের অন্যান্য মসজিদেও। দেখা গেছে, বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে মসজিদ। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। বাইরে বসেছে আতর-টুপির পসরা।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা লালখান বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘পবিত্র শবে বরাতের এই দিনে আমি রোজা রেখেছি। স্থানীয় মসজিদে নামাজও আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ্। আজ সারারাত ইবাদত করবো, ইনশাআল্লাহ্।'  

কাজির দেউড়ি থেকে আসা তানজিদ হোসেন বলেন, ‘আজ পবিত্র শবে বরাত। প্রতিবছরই আমি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসি। আজও এসেছি। সারা রাত ইবাদত করব, ইনশাআল্লাহ্।

এদিকে মসজিদের সামনের রাস্তায় সারি সারি ভ্যানগাড়িতে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, মাস্ক, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আর সেখানেও ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।

ফুটপাতের একটি দোকান থেকে ছেলের জন্য টুপি কিনতে দেখা যায় ইকবাল ভুঁইয়াকে। তিনি বলেন, 'আমার ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে এসেছি পবিত্র শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে। এখানে দেখলাম প্রতিবারের মতো অনেকগুলো টুপি-আতরের দোকান বসেছে। তাই ছেলেকে একটি টুপি কিনে দিতে দাঁড়ালাম। দাম একটু বেশি অন্যান্যবারের তুলনায়। টুপির পর একটি আতরও কিনবো।'

তাদের পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, ‘মেসওয়াকের উপকারিতা সত্তরেরও অধিক। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে মেসওয়াক করলে মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হয়। চোখে পড়লো, তাই দেখছি।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: