খুশি অর্পিতা-অঙ্কিতা

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
খুশি অর্পিতা-অঙ্কিতা

একদিন আগে পুড়ে ছাই নবম শ্রেণি পড়ুয়া অর্পিতার চিকিৎসার টাকা, অঙ্কিতার বই-খাতা। অর্পিতার মা সুগন্ধা দাশের বিলাপ করছিলেন, কোথায় যাবেন, কীভাবে মেয়ের টিউমার অপারেশন করবেন। আর ছাইয়ের মধ্যে পোড়া বই খুঁজতে খুঁজতে মুর্ছা যাচ্ছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সিভয়েস২৪সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের এই বিলাপ ছুঁয়ে গেল পাঠকদের মনেও। অর্পিতার অপারেশনের পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকার যোগান দিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অর্পিতার চিকিৎসার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী অঙ্কিতাকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবগুলো বই কিনে দিয়েছেন কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব। তাঁর ফরম ফিলাপের জন্য ১০ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের এয়াকুবনগর টেকপাড়া বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে অর্পিতা-অঙ্কিতাদের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর থেকে দুশ্চিন্তায় তারা। তাদের এ দুশ্চিন্তার কথা উঠে এসেছে সিভয়েস২৪সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি অর্পিতার মাসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের মাঝে মানবিক সহায়তা তুলে দেন।

জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুগন্ধা বলেন, ‘অনেক কষ্টে মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকাটা জমিয়েছিলাম। কিন্তু আগুন আমার সবকিছুই ছাই করে দিয়েছে। এখন আমাকে ডিসি মহোদয় পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ডিসি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর যে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার দুর্দশার বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন তাদের ঋণও শোধ করতে পারব না।’

অর্পিতা বলেন, ‘আমি কল্পনা করিনি এত অল্প সময়ে আমার বই ও ফরম ফিলাপের টাকা যোগাড় হবে। আগুন লাগার পর আমার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কখনো ভুলবার নয়। আমি এবং আমার পরিবার তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়