সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ/
রাসায়নিকসহ চারপণ্য বাড়াচ্ছে ভোগান্তি, নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৫ জুন ২০২২
রাসায়নিকসহ চারপণ্য বাড়াচ্ছে ভোগান্তি, নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন

জুট, তুলা, সুতার কাপড় আর রাসায়নিক পণ্যের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। এখনও ডিপোর ভেতরে রাসায়নিক পণ্য ভর্তি কনটেইনার আছে। ফলে ডিপোর ভেতরে ঝুঁকি এখনও কাটেনি।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে আগুনের মাত্রা কমে এলেও সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের মাত্রা আবারও বাড়তে শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছেন, ডিপোর ভেতরে তুলা, জুট, সুতির কাপড় আছে। একারণে আগুনের শক্তি কমিয়ে আনা মুশকিল হচ্ছে। সে সঙ্গে ডিপোর ভেতরে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’র আরও একটি কনটেইনার আছে। তাই এখনও ঝুঁকি কাটেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দলও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা থেকে আসা সেনাবাহিনীর সদস্য মো. রাসেল সিভয়েসকে বলেন, ডিপোর ভেতরে সুতির কাপড়, তুলা, জুট ও রাসায়নিক কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনার আছে। আমাদের উপরের মহলের নির্দেশনায় আমরা নিরাপত্তার খাতিরে ভিতরে এখন কাউকে যেতে দিচ্ছি না। যেহেতু আগুনের মাত্রা আরও বেড়েছে। আমরা কনটেইনারগুলো আলাদা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এরআগে, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছিলেন, হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে দাহ্য রাসায়নিক পর্দাথ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন মোট ১৮২ জন। এছাড়া চমেক হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে ১২ জন রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর আহত ১০০ জনের বেশি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান তিনি। 

-সিভয়েস/টিএম

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়