পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা
উল্টো মামলা করতে গিয়ে হামলাকারী গ্রেপ্তার

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
উল্টো মামলা করতে গিয়ে হামলাকারী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার শওকত বিন হায়াত (৫০)।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে উল্টো থানায় মামলা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন হামলাকারী শওকত বিন হায়াত (৫০)। শনিবার রাতে পটিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 

আজ (রবিবার) কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় ‘অতি চতুর’ এই আসামিকে। শওকত বিন হায়াত পটিয়া উপজেলার নাইখাইন গ্রামের আবু তাহের ছেলে।

জানা গেছে, সীমানা বিরোধের জের ধরে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নাইখাইন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর চৌধুরীর ছেলে মিজানুর রহমানের ওপর হামলা করেন শওকত। তার নেতৃত্বে তার দুই ভাই ও এক ভাতিজা মিলে রাতের আঁধারে এই হামলা করা হয়। এ সময় মিজানকে বাঁচাতে এলে টুটুল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ওপরও হামলে পড়েন তারা। তাকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে জখম করে রক্তাক্ত করা হয়। এমন হামলায় গুরুতর আহতরা যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন তখন উল্টো আহতদের বিরুদ্ধেই মামলা করতে শনিবার রাতে পটিয়া থানায় যান শওকত। এ অবস্থায় পটিয়া থানা পুলিশ তাকে আটক করে। রবিবার আদালতে হাজির করার পর আদালত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পটিয়া থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নাইখানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত এসএম হোসেন নবী টুটুল বাদী হয়ে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হামলা করে উল্টো ভিকটিমের ওপর দায় চাপাতে ‘মিথ্যা’ মামলা করতে থানায় এসেছিলেন শওকত। কিন্তু ওসির নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শওকত এই মামলার প্রধান আসামি। 

অন্য চার আসামি হলেন— নাজমুল হোসেন ওরফে নসু, বখতেয়ার হোসেন ও তার ছেলে মো. ফারদিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহীনা আবেদ জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় আসামি শওকতকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়