Cvoice24.com

ক্লাস নেওয়া বন্ধ সেই শিক্ষিকার

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
ক্লাস নেওয়া বন্ধ সেই শিক্ষিকার

শিক্ষার্থীদের না পড়ানো, ক্লাস না করিয়ে ফোন ব্যবহার, ইচ্ছেমতো আচরণ, প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অবশেষে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আলোচিত শিক্ষিকা হলেন ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকার ইসমাইল সুকানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন আক্তার। প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে ক্লাসে যেতে বারণ করেছে থানা শিক্ষা অফিস।

স্কুল নয় যেন ‘মামার বাড়ি’

এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি স্কুল নয় যেন ‘মামার বাড়ি’ শিরোনামে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং অভিযোগ উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে সিভয়েস২৪।

বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের অভিযোগ— সরকারি স্কুল হলেও রেজাল্ট কার্ড নিতেও টাকা দিতে হয় সহকারী শিক্ষক শারমিন আক্তারকে। বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো বাদ দিয়ে তিনি ক্লাসে বসে মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষার্থীদের নাস্তার টাকাও ছিনিয়ে নেন তিনি। ঘরে জানালে মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় ছেলেমেয়েদের।

গত ২৭ জানুয়ারি স্কুল প্রাঙ্গনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় উপস্থিত অভিভাবকরা এসব অভিযোগ তোলেন। এসময় তারা ওই শিক্ষিকা যেন আর ক্লাস না নেয়; সেই দাবি তোলেন। তার বিরুদ্ধে সবিস্তর অভিযোগ উল্লেখ করে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে থানা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে। কিন্তু সবকিছু জেনেও কেউই ব্যবস্থা নেইনি অভিযুক্ত এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। উল্টো শিক্ষা কর্মকর্তারা তার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন বিভিন্ন সময়ে।

বন্দর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা বাবু নিখিল চন্দ্র রায় সিভয়েস-২৪কে বলেন, 'আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা শারমিক আক্তারকে ডেকেছিলাম অফিসে। উভয়পক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা শুনেছি। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকারও কিছু অভিযোগ শুনেছি আমি। তবে তিনি যে অভিযোগগুলো করেছেন সেগুলো খুবই ঠুনকো। যেহেতু অভিভাবদেরও তার প্রতি অনেক অভিযোগ তাই তাকে আপাতত স্বাক্ষর করে স্কুলেই এক বেলা থাকতে বলেছি। ক্লাসে যেতে বারণ করেছি।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম অনুসারে যেকোনো সময় চাইলেই যে কাউকে এখন বদলি করা যায় না। আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আরও তদন্ত করে দেখবো। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব তার বিষয়ে। তাৎক্ষণিক শাস্তি হিসেবে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল হক বলেন, আমি থানা শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে বলেছি। তদন্ত রিপোর্টে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়