যুবলীগ কর্মী তানভির হত্যার ঘটনায় ২ আসামি কারাগারে

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৯ মার্চ ২০২০
যুবলীগ কর্মী তানভির হত্যার ঘটনায় ২ আসামি কারাগারে

যুবলীগ কর্মী আনোয়ার জহির তানভির (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে তাদের মহানগর হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুই আসামি হলেন- পাহাড়তলি এলাকার কাজির দিঘীর সেকান্দার মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩৮) এবং একই এলাকার বনিক পাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোশাররফ হোসেন প্রকাশ জনি (৩৩)। এর মধ্যে সোহেল মামলার ১ নম্বর আসামি এবং জনি ৩ নম্বর আসামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন তানভির খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ঘোষ সিভয়েসকে বলেন, কারাগারে প্রেরণ করা দুইজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।

কাট্টলীতে আ.লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদের সমর্থককে কুপিয়ে খুন

এর আগে বুধবার রাতে যুবলীগ নেতা তানভির হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া মামলার ২ নম্বর আসামি নেছারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। তবে পলাতক থাকায় আসামি নেছারকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে নিহত তানভিরের ভাই তৌফিক জহির বাদি হয়ে পাহাড়তলী থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ঘোষকে।

কাট্টলীতে তানভির খুনের ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ পাহাড়তলী থানার লোহারপুল এলাকায় বর্তমান কাউন্সিলর ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর বাড়ির সামনে আনোয়ার জহির তানভিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তানভির মোরশেদ আকতারের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। 

মোরশেদের অনুসারীরা বলছেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইলের অনুসারীরাই তানভিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার আগে তানভিরসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে ছিল। এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগ মনোনী কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইলের অনুসারীরা তানভিরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং হত্যা করে।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামীলীগ মনোনিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে বিদ্রোহী মোরশেদ আকতারের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তানভিরসহ কয়েকজন তার বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিল। এক পর্যায়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ইসমাইলের অনুসারীরা। যার ফলে গুরুতর আহত হয় তানভির। পরে লোকজন দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদি ও তানভিরের ভাই তৌফিক জহির সিভয়েসকে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

সিভয়েস/এসএইচ/এসএএস
 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়