কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে অনশন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ৯ নভেম্বর ২০২২
কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে অনশন

কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে অনশন ধর্মঘট পালন করছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে টানা ৮ ঘণ্টা নদীর মাঝখানে অনশন করেছে দুই শতাধিক সাম্পান মাঝি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর তীরে টিকে থাকা আড়াই শতাধিক বনজ ও ওষুধি গাছ সংরক্ষণ করার দাবি জানান তারা। নইলে আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগ এনে আদালতে যাওয়ারও কথা জানান তারা।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ২ হাজার ১৮১ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সুনির্দিষ্ট আদেশ থাকা সত্ত্বেও তা সাড়ে তিন বছরেও কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। আমরা কি ধরে নেব সরকারের চেয়ে জেলা প্রশাসনের চেয়ে দখলদারগণ শক্তিশালী। জেলা প্রশাসন দখলদারদের শক্তি মোকাবেলা করতে অপারগ। আর পনেরদিন অপেক্ষা করেই কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আপনাদের বাধ্য করার যে প্রক্রিয়া সেটাই সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী বলেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী দখল দূষণ করে পঙ্গু করা হচ্ছে। দূষণে ৭০ প্রজাতির মাঝ বিলুপ্ত হয়েছে। নদী ও তীর দখল করে গড়ে উঠেছে একের পর অবৈধ স্থাপনার জঞ্জাল। দেখার কেউ নাই। তাহলে কি আমরা ধরে নিব এই দেশে প্রশাসন নেই। 

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের উপদেষ্টা মেরিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোমান আহমদ সিদ্দিকি বলেন, প্রাচ্যের রাণী কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রাণ প্রবাহ। লুসাই সৃষ্ট কর্ণফুলীর বাকে বাকে রয়েছে নান্দনিক বৈচিত্রতা। অতীতের নির্মল স্বচ্ছ কর্ণফুলী এখন দখল ও দূষণে মারা পড়ছে। ৪০ লক্ষাধিক মানুষের বর্জ্য কর্ণফুলীতে পড়ছে। যেটা মেনে নেয়া যায়না। দশ বছর আগের ৯১০ মিটারের কর্ণফুলী এখন ৫১০ মিটার। আজকে মৃতপ্রায় কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা অচিরেই উচ্ছেদ করতে হবে। 

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমাদের এক কথা এক দাবি হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে। কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করতে হবে। জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালে জরিপ করে চিহ্নিত অবৈধ স্থাপনা ভূমি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নদী কমিশনের ওয়েব সাইটে ঘোষিত। তারপরও তা কেন উচ্ছেদ হবে না। 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সংগঠন গ্রিন ফিঙ্গার্সের কো ফাউন্ডার আবু সুফিয়ান রাশেদ, রিতু ফারাবি, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য লেখক দিলরুবা খানম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সহ-সভাপতি লোকমান দয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদরঘাট সাম্পান সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর আহমদ প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়