নিখোঁজ শিশু আয়াতকে ছয় টুকরো করে ফেলা হয় সাগর পাড়ে
সিভয়েস প্রতিবেদক
মুক্তিপণের জন্য অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নিখোঁজ শিশু কন্য আয়াতকে। ছয় বছর বয়সী এ শিশুকে ছয় টুকরা করার পর তা কাট্টলী সাগরপাড়ে সিডিএর নির্মিত খালে ফেলে দেওয়া হয়।
নিখোঁজের দশ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই।
২৪ নভেম্বর রাতে সিপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার বাসা থেকে আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতে হত্যার কারণ ও লাশ ছয় টুকরো করে সাগর পাড়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ওই পাষণ্ড যুবক।
ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান শুক্রবার দুপুরে সিভয়েসকে বলেন, 'আবির আলী নামে আয়াতদের এক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাজারের ব্যাগে ভরে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগর পাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর আবির আলী সব কিছু স্বীকার করে নেয়। মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে আবির আলীর বাসা থেকে। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগর পাড়ে আছি।'
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা সিভয়েসকে বলেন, ‘মূলত মুক্তিপণ দাবির জন্যই আবির আলী তার বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করে। কিন্তু মেয়েটি চিৎকার করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে লাশ গুম করতে ছয় টুকরো করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সব কিছুই স্বীকার করে নেয় সে। আয়াতের খণ্ডিত মাংসপিণ্ডগুলো উদ্ধারে ডুবুরি দলের পাশাপাশি আমাদের তিনটি টিম কাজ করছে। তবে আজ পুরো দিনেও কোন অংশই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’
ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান আছে। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল। গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে নয় দিন পর এ নিখোঁজ রহস্যের জট খুললো।