Cvoice24.com

নিজে মরার সন্দেহে মারল আরেকজনকে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
নিজে মরার সন্দেহে মারল আরেকজনকে

স্বর্ণ চোরাচালান আর মাদক ব্যবসার লেনাদেনা নিয়ে মনোমালিন্য। মাদকের আড্ডায় স্বর্ণ কিনতে যাওয়ার প্রস্তাব। এরপর বিভিন্নজনের কানাঘুষায় খুনের পরিকল্পনার সন্দেহ। এই সন্দেহ থেকেই ব্যাচেলর বাসায় দলবল নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় সুমন সাহা নামে ওই ব্যবসায়ীক পার্টনারকে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারের আরএস টাওয়ার নামে একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন— মফিজুর রহমান দুলু (৫৬), মো. মামুন (৩৮) এবং নুর হাসান রিটু (২৮)। এরমধ্যে মফিজুর রহমান দুলু চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ইছহাক মিয়ার বাড়ির মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে, মামুন নগরের কোতোয়ালীর লোকমান সওদাগর বাড়ির মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং নুর হাসান রিটু কোতোয়ালীর আব্দুল সওদাগর বাড়ির আব্দুল আলী সওদাগরের ছেলে।

উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহত সুমন মাদক সেবনরত অবস্থায় দুলুকে স্বর্ণ কেনার জন্য টেকনাফ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ওই বিষয়টি মামুন জানতে পেরে দুলুর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয় যে— সুমন দুলুকে মারার জন্য লোক ঠিক করেছে। তাকে টেকনাফ নিয়ে যাবে বলেছে তার জন্য কয়েকজন লোকও ঠিক করেছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে কয়েকজন লোককে দিয়ে দুলুর রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ অফিস রেকি করিয়েছে। এই বিষয়ে সন্দেহ ঢুকায় ভিকটিম সুমন গত ২৬ নভেম্বর রাতে দুলুর ভাড়াকৃত রুমে মাদক সেবন করতে গেলে সেখানে সুমনে আটকে রাখে এবং তাকে (দুলু) মারার জন্য কাকে ঠিক করেছে এবং বাসা-অফিস কেন রেকি করিয়েছে তা বারবার জিজ্ঞেস করে। এ বিষয়ে কোনো তথ্য না দেওয়াতে দুলু ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার প্লাস দিয়ে মারধর করে সুমনের কাছ থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মামুন ও নুর হাসান রিটুদেরকে দিয়ে মারধর করে তথ্য বের করার চেষ্টা করেও না পেয়ে সুমনকে হাত বেধে উলঙ্গ করে এলোপাতাড়ী মারধর করে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নিহত সুমন ও গ্রেপ্তার তিনজন ওই ভবনের একটি কক্ষে মাদক সেবন করতো। সেই রুমেই সুমনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে (সুমন) মৃত ঘোষণা করেন। পরে আজ মঙ্গলবার ভোরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তখন তাঁরা নেশাগ্রস্ত ছিলেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানায়, ভিকটিম সুমন দীর্ঘদিন ধরে আসামি দুলুর রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ ভাড়াকৃত রুমে আসা যাওয়া করতো এবং সেখানে গিয়ে তারা সবাই একসাথে মাদক সেবন ও আড্ডা দেয়। আসামি দুলু ও ভিকটিম সুমন স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে লেনদেন হয়। লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সুমনের কাছ থেকে আসামি দুলু টাকা পাওনা থাকলেও টাকা না পাওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: